নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কারণ আমরা আপনাদের সুবিধার্থে নরওয়ে ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। তার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
সম্মানিত পাঠকগন নরওয়ে অর্থনীতি দিক থেকে অনেক শক্তিশালী এদেশে কাজের সুবিধা বেশি থাকার কারণে বাংলাদেশের অসংখ্য নাগরিক এদেশে পাড়ি জমায়। তাই যারা নতুন অবস্থায় নরওয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তারা অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন, বিস্তারিত জানতে নিচে পড়তে থাকুন।
নরওয়ের পরিচিতি
বিশ্বের মধ্যে নরওয়ে একটি সুন্দর দেশ এদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক উন্নত এবং শক্তিশালী। যার ফলে বেশিরভাগ পর্যটক এ দেশটিকে বেছে নেয়। নরওয়ে দেশের রাজধানীর নাম হল অসলো। এদেশের আয়তন ৩,৮৫,২০৭ বর্গ কিলোমিটার। নরওয়ে দেশের জনসংখ্যা ২০২৩ সালের গণনা অনুযায়ী ৫,৪৯০,৯৯০ জন।
এ দেশটি উত্তর ইউরোপ মহাদেশের এক অনন্য সৌন্দর্যময় দেশ। শুধু তাই নয় এদেশের চারপাশে ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, সুইডেন, ডেনমার্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বড় দেশ রয়েছে। তাই এদেশে আসার জন্য অসংখ্য বাঙালি নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করে থাকে, বিস্তারিত জানতে নিচে পড়তে থাকুন, সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানুন।
বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যেতে কত টাকা লাগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বর্তমান বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য কর্মী উন্নত জীবনযাপনের জন্য নরওয়ে যাওয়ার ইচ্ছা করে। তবে এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে দেশে ইনকাম বেশি সে দেশে খরচও বেশি। তাই বর্তমান একটি এজেন্সির মাধ্যমে নরওয়ে যেতে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে আপনারা চাইলে নিজে নিজে অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।
নরওয়ে চাকরির সুবিধা সমূহ
নরওয়ে চাকরির সুবিধা সমূহ অনেক। আপনি যখন নরওয়ে চাকরির অফার লেটার পেয়ে যাবেন। পরবর্তীতে তারা আপনাকে চাকরির পাশাপাশি থাকার ব্যবস্থা করে দিবে। তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খাবারের খরচ নিজে বহন করতে হয়। চাকরি সময় প্রত্যেকটা কর্মী সপ্তাহে পাঁচদিন করে ডিউটি থাকে এবং বাকি দুদিন ছুটি থাকে।
তবে আপনারা এখানে ওভার টাইম কাজ করতে পারেন। বর্তমান ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে নরওয়ে বেতন অনেক বেশি। তবে এদেশের সরকার সকল কর্মীদের জন্য নিয়ম কানুন সমান রেখেছে। যার ফলে এদেশের কর্মীদের কোন ঝামেলা সম্মুখীন হতে হয় না।
নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে
নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ-
- বৈধ পাসপোর্ট
- সর্বনিম্ন ৬ মাসের মেয়াদী পাসপোর্ট
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম সনদ
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জব অফার লেটার
- একাডেমী সার্টিফিকেট
- ইন্টারন্যাশনাল সিভি
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
উল্লেখিত কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হলে নরওয়ে ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে পারেন।
নরওয়ে যেসব সেক্টরে জব পাওয়া যায়
নরওয়ে যেসব সেক্টরে জব পাওয়া যায় নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ-
- ইলেকট্রিশিয়ান জব
- মেশিন জব
- ইঞ্জিনিয়ারিং জব
- টাইলস মেশিন জব
- স্টিল ফিল্টার জব
- রড বাউন্ডার জব
- কারর্পেন্টার জব
- স্টিল ফিক্সার জব
- প্লাম্বার জব
- পাইপ ফিল্টার জব
- সুপার ভাইজার জব
- ওয়েল্ডার জব ইত্যাদি
নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কত সময় লাগে
আপনার কাগজপত্র যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে নরওয়ে ভিসা আবেদন করার পরে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন। তবে আপনি প্রথমে এক বছর মেয়াদী ভিসা পাবেন। পরবর্তী আপনি চাইলে নবায়ন করে নিতে পারবেন, সৌদি ভিসা চেক করার লিংক কোথায় পাবেন জানুন।
নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বেতন কত
নরওয়ে ভিসা আবেদন করার আগে প্রত্যেকটা কর্মী তাদের বেতন সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। তাই আজকে আমরা আপনাদের সুবিধার্থে সম্ভাব্য কিছু বেতন সম্পর্কে ধারণা দিব যথাঃ-
- নরওয়ে একজন কর্মীর সর্বনিম্ন বেতন ১২০০ থেকে ১৫০০ ডলার পর্যন্ত।
- নরওয়ে একজন দক্ষ কর্মীর বেতন ২০০০ থেকে ৩০০০ ডলার পর্যন্ত।
উল্লেখিত বেতন শুধুমাত্র একটা সম্ভাব্য মাত্র। তাই আপনারা নরওয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোম্পানির বেতন সম্পর্কে জেনে নিবেন।
নরওয়ে স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে
একজন দক্ষ কর্মী খুব সহজে নরওয়ে স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে পারে। শুধু তাই নয় প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য ভিসা অনুমতি দেওয়া হয়। তবে পরবর্তী চাইলে পিআর এর আবেদন করে ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আন্তর্জাতিকভাবে তিন বছরের জন্য স্ক্রিল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অনুমতি পাওয়া যায়।
নরওয়ে ভিসা ছাড়া কতদিন কাজ করা যায়
নরওয়ে ভিসা ছাড়া কতদিন কাজ থাকা যায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বর্তমান ইউরোপ দেশের নাগরিকরা যদি নরওয়ে ৯০ দিনের বেশি সময় থাকতে চায়। তাহলে অবশ্যই পুলিশের কাছে নিবন্ধন দিয়ে থাকতে হবে। আর যারা ইউরোপ দেশের বাইরের নাগরিক। তারা যদি নরওয়েতে ৯০ দিনের বেশি থাকতে চায়। তাহলে আবাসিক পারমিট ভিসার অনুমতি নিতে হবে। তাহলে তারা নরওয়েতে কাজ করতে পারবে, অন্য পোস্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
সাধারণ জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
নরওয়ে গড় বেতন কত?
উত্তরঃ- ৫০ থেকে ৮০ হাজার।
বাংলাদেশ থেকে নরওয়েতে ওয়ার্ক পারমিট কিভাবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ- ভিএফএস গ্লোবাল এর মাধ্যমে।
শেষ মন্তব্য - নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে
সম্মানিত পাঠকগন আমরা আশা করছি যে, আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে নরওয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদিও আপনার আর্টিকেলটি পড়তে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় লেগেছে। তারপরও আপনার পরবর্তীতে অনেক উপকারে আসবে। তাই আমরা সবসময় আপনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আর্টিকেল রেডি করে রাখি। আর এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।
স্টার বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url