মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন - মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কেমন।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন নিয়ম জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ আজকে আমরা মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আপনাদের সামনে শেয়ার করব।
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন
সম্মানিত পাঠক বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রতিবছর অসংখ্য নাগরিক ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করে থাকে। কিন্তু যারা নতুন অবস্থায় ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করতে পারেন না। তারা অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে সকল ধরনের তথ্য দেয়া রয়েছে, বিস্তারিত জানতে নিচে পড়তে থাকুন।

ভূমিকা

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ নাগরিক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং ভিজিট ভিসা আবেদন করতে চায়। কিন্তু কিভাবে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে হয় তা অনেকেই জানে না। তাই আপনাদের সুবিধার জন্যই মূলত আমাদের আর্টিকেলটি। তাই আজকে আমরা কিভাবে দালাল ছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করব তা জেনে নিব। 

আপনি যদি মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদন করতে চান। সে ক্ষেত্রে বিএমটির ডাটাবেজে রেজিস্টার করে ভিসা অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদনের জন্য তিন ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে যথাঃ-

  • মালয়েশিয়া ই ভিসা
অন্য দুটি হল সরকারিভাবে

  • আমি প্রবাসী অ্যাপস এর মাধ্যমে
  • বিএমটির কার্যালয়ের মাধ্যমে

মালয়েশিয়া ই ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন

মালয়েশিয়া ই ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন তা অনেকেই জানেন। তবে যারা জানেন না তাদের জন্য মূলত আমাদের আর্টিকেলটি। মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে হলে একজন বিশ্বস্ত এজেন্সি খুঁজে তাদের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পরে আপনারা নিজে থেকে এই লিংকে প্রবেশ করে ভিসা ডাউনলোড করতে পারবেন। তাই সকল কাগজপত্র, ভিসা ফি পরিশোধ করলে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার সকল তথ্য খুব দ্রুত পেয়ে যাবেন।

অনলাইনে মালয়েশিয়া ই ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন

বর্তমান বাংলাদেশে ৪২টি বিএমইটি কার্যালয় এবং ১১টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ই ভিসা আবেদ করতে পারবেন। কারণ মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিএমইটি কার্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যার মাধ্যমে আপনারা পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কার্যালয়ে জমা দিয়ে ভিসা আবেদন করতে পারবেন। সকল কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরে আপনার মোবাইল নাম্বার এবং বিএমইটি ডাটাবেজের মাধ্যমে সকল তথ্য জানিয়ে দেয়া হবে।

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদনের জন্য আমি প্রবাসী অ্যাপস কিভাবে ব্যবহার করবেন

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদনের জন্য আমি প্রবাসী অ্যাপস কিভাবে ব্যবহার করবেন নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ-


  • প্রথমে একটা স্মার্ট ফোন অথবা ল্যাপটপ প্রয়োজন।
  • এরপর Ami probashi অ্যাপসটি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন।
  • এরপর পাসপোর্ট স্ক্যান করুন এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে বিএমইটি রেজিস্টার করুন।
  • এরপর ৭২ ঘন্টা সময় নেবার পর সকল তথ্য দিয়ে ভেরিফিকেশন করুন এবং ৩০০ টাকা ফি দিয়ে রেজিস্টার করুন।
  • এরপর আমি প্রবাসী অ্যাপসটি লগইন করে বিভিন্ন ধরনের চাকরি খোঁজার অপশন পাবেন যেখানে আপনি আবেদন করতে পারবেন।
  • সেখানে চাকরির অফার লেটার পেলে ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
আপনি চাইলে আমি প্রবাসী অ্যাপসের ইনবক্সে জানতে পারবেন যে আপনার চাকরি হয়েছে কিনা।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ-

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • সর্বনিম্ন ৬ মাসের মেয়াদী পাসপোর্ট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • BMET রেজিস্ট্রেশন
  • বিশ্বস্ত এজেন্সির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ
  • ভিসা আবেদনের সনদপত্র
  • ভিসা ফি প্রদান
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
আরো অন্যান্য কাগজপত্র প্রয়োজন হলে এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি বিষয় হল একটি কর্মসংস্থানের ভিসা। যা একটি কোম্পানি ফ্যাক্টরির ভিতর কাজের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে। এই ভিসার মেয়াদ থাকে ১ বছর যা পরবর্তীতে রিনিউ করে মেয়াদ বাড়ানো যায়। তাই এই ভিসা আবেদন করার জন্য অসংখ্য বাঙালি চেষ্টা করে যাচ্ছে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার নিয়ম

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার নিয়ম অনেকেই জানেন। কিন্তু যারা জানেন না তারা আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। বর্তমান মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার জন্য মালয়েশিয়ার কনস্যুলেট এবং দূতাবাসে গিয়ে সত্যায়িত কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এরপর ভিসা আবেদন ফি জমা দিতে হবে।

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার জন্য কি প্রয়োজন

মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন চেক করার জন্য দুটি ডকুমেন্ট প্রয়োজন যথাঃ-

  • পাসপোর্ট নাম্বার প্রয়োজন
  • অন্যটি হল ভিসা আবেদনের নাম্বার প্রয়োজন
এ দুটো জিনিস হলে ভিসা আবেদন চেক করা যাবে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা চেক করার কৌশল

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা চেক করার কৌশল নিচে উল্লেখ করা হলঃ-


  • প্রথমে এই লিংকের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • এরপর ভিসা অ্যাপ্লিকেশন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর পাসপোর্ট নম্বর এবং ভিসা আবেদনের নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
  • সকল ডকুমেন্ট সম্পূর্ণ হলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর আপনার ভিসার সকল তথ্য আপনার সামনে চলে আসবে।
যদি কোনো কারণ আপনার ভিসা আবেদন বাতিল করা হয় তার কারণ জানিয়ে দেওয়া হবে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে কত টাকা খরচ হয়

বর্তমান অসংখ্য বাঙালি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার জন্য আগ্রহী। তাই মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে মালয়েশিয়া ভিসা পেতে কত টাকা খরচ হয় সে সম্পর্কে সবার ধারণা থাকা জরুরী। তো চলুন সময় নষ্ট না করে আলোচনার মূল পর্বে চলে যাই। বর্তমান মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন বেশি থাকার কারণে এ ভিসা পেতে বেশি টাকা খরচ হয়। 

এই ভিসা আবেদন করা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট যাবতীয় খরচ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাই মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা পেতে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। তবে সময়ের সাথে সাথে খরচ কম বেশি হতে পারে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কেমন

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কেমন এটা জানার জন্য অনেকেই গুগলের সার্চ কনসোল ব্যবহার করে থাকে। আপনাদের সুবিধার্থে আজকে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। বর্তমান মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি হিসেবে বেতন নির্ভর করে তাদের কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর। যারা নতুন অবস্থায় ফ্যাক্টরি ভিসায় কাজ করে তাদের বেতন একটু কম, অন্য পোস্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন। 

আর যাদের কাজের অভিজ্ঞতা বেশি তারা অনুপাতে একটু বেশি বেতন পায়। তাই নতুন এবং অভিজ্ঞতার বেতন কত নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ-

  • নতুন কর্মীদের বেতন ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মত।
  • যারা পুরাতন এবং অভিজ্ঞ তাদের বেতন ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত।

সাধারণ জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসার ফি কত?
উত্তরঃ ৫ থেকে ৫৩০০ টাকার মত।

মালয়েশিয়া ই ভিসা হতে কতদিন লাগে?
উত্তরঃ চার থেকে পাঁচ কর্ম দিবস পর্যন্ত।

মালয়েশিয়া কাজের ভিসায় যেতে বয়স কত লাগে?
উত্তরঃ ১৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত।

শেষ মন্তব্য - মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন সম্পর্কে

সম্মানিত পাঠক গন উপরের আলোচনা থেকে আপনারা ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন, প্রবাসী অ্যাপস এর মাধ্যমে আবেদন করার নিয়ম, মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন, এবং মালয়েশিয়া ভিসা আবেদনের জন্য কত টাকা লাগে ও বেতন কত ইত্যাদি বিষয় জানতে পারলেন। 

এজন্য আমরা সব সময় আপনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সকল ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রকাশ করি।যাতে করে আপনাদের অনেক উপকারে আসে তাই আপনার চাইলে আমাদের আর্টিকেলটি লাইক কমেন্ট শেয়ার করে দিয়ে সহায়তা করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টার বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url