নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন এবং স্পন্সর ভিসা বলতে কি
বুঝায় ইত্যাদি বিষয় জানতে যাচ্ছেন তাহলে আজকের পোস্ট আপনাদের জন্যই। কারণ
আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। বিস্তারিত জানতে
নিচে পড়ুন।
সম্মানিত পাঠক গন বর্তমান নিউজিল্যান্ড সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে নিউজিল্যান্ড
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদনের সুযোগ দিচ্ছে। তবে আপনাদের এখানে জেনে রাখা ভালো
যে, বর্তমান নিউজিল্যান্ডে দক্ষ এবং অদক্ষ বিভিন্ন কর্মী কর্মসংস্থানের সুযোগ
পাচ্ছে। তাই বিস্তারিত জানতে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ভূমিকা
বর্তমান নারী এবং পুরুষ উভয়ে নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে
পারবেন। কারণ নিউজিল্যান্ড সরকার পুরো বিশ্বে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের
কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু কিভাবে আবেদন করবেন এই বিষয়টা অনেকেই
জানে না। তাই আজকে আপনারা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে সকল
তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই সময় নষ্ট না করে আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে
পড়ুন।
স্পন্সর ভিসা বলতে কি বুঝায়
স্পন্সর ভিসা বলতে কি বুঝায় এটা সহজ ভাবে বলতে গেলে, ফ্রি ভিসাকে বুঝায় যা
কোম্পানি বহন করবে। আরো সহজে বলতে গেলে, আপনি যদি কোন কোম্পানিতে জবের আবেদন করেন
সে কোম্পানি যদি আপনার জব লেটার রিসিভ করে। তাহলে আপনি কোম্পানির পক্ষ থেকে জব
লেটার পেয়ে যাবেন এবং কোম্পানি ফ্রি ভিসা আপনাকে অফার করবে।
নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন
নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন নিচে তা উল্লেখ
করা হলঃ-
আরো পড়ুনঃ নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে ২০২৫
- সর্বনিম্ন ৬ মাসের মেয়াদী পাসপোর্ট থাকতে হবে
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকতে হবে
- নিউজিল্যান্ডের জব অফার লেটার থাকতে হবে
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি থাকতে হবে
- পুলিশ ভেরিফিকেশন ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে
- মেডিকেল রিপোর্ট থাকতে হবে
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট থাকতে হবে
- চেয়ারম্যানের সনদপত্র
এ সকল ডকুমেন্টের বাহিরে কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হলে নির্দিষ্ট এজেন্সির সাথে
যোগাযোগ করতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা একটা লিংক শেয়ার করলাম যেখানে আপনি
যোগাযোগ করে job নিশ্চিত করতে পারবেন।
নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হলে প্রথমে তাদের অফিসিয়াল ওয়েব
সাইটে গিয়ে জব রিকয়ারমেন্ট চেক করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে ওয়েবসাইটের
ইমেইল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে। অনেক সময় ইমেইলে মাধ্যমে যোগাযোগ করতে না
পারলে কন্টাক্ট ফরম অথবা whatsapp এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে।
নিউজিল্যান্ড জব আবেদনের ওয়েবসাইট
নিউজিল্যান্ড জব আবেদনের ওয়েবসাইট গুলো নিচে উল্লেখ করা হলঃ-
- Jora
- Jooble
- Seek
- Indeed
- Trademe
এ সকল ওয়েবসাইট গুলো খুবই বিশ্বস্ত আপনারা চাইলে খুব সহজে এ সকল ওয়েবসাইটে
গিয়ে জব আবেদন করতে পারেন। সকল সাইট গুলো ইন্টারন্যাশনাল সাইট যেখানে আপনারা জব
সাপোর্ট পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
যারা বাংলাদেশ থেকে কর্মসংস্থানের জন্য নিউজিল্যান্ডে যেতে চায় তাদের অবশ্যই
বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তবে
একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো যে, আপনি যদি নিজে নিউজিল্যান্ড অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে
গিয়ে আবেদন করতে পারেন তাহলে কোন টাকা প্রয়োজন হবে না।
সে ক্ষেত্রে আপনি যদি নিউজিল্যান্ডের জব ওয়েব সাইটে গিয়ে আবেদন করার মাধ্যমে
কোন কোম্পানি আপনাকে যদি জব অফার লেটার প্রদান করে। তাহলে আপনি সম্পূর্ণ কোম্পানি
খরচে ফ্রি ভিসায় নিউজিল্যান্ডে যেতে পারবেন। আর যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে
নিউজিল্যান্ডের যেতে চান তাহলে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে।
নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সর্বনিম্ন বেতন কত
নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় সর্বনিম্ন বেতন কত জানতে চাচ্ছেন, তাহলে আপনি
সঠিক জায়গায় চলে এসেছে। কারণ আমরা আপনাদেরকে এ বিষয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা
দিব। তো চলুন এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। বর্তমান নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট
ভিসায় ভেতর ধরা হয় প্রতি ঘন্টায় ২৫ থেকে ৩০ ডলারের মত, অন্য পোস্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
নিউজিল্যান্ড ফ্রি স্পন্সর ভিসা প্রদানকারী কোম্পানি
নিউজিল্যান্ড ফ্রি স্পন্সর ভিসা প্রদানকারী কোম্পানি গুলোর নাম নিচে তালিকাভুক্ত
করা হলঃ-
- Ebos Group
- Mainfreight
- Fontera
- Contract Energy
- Mercury Newzealand Etc.
এ সকল কোম্পানিগুলো স্পন্সর ভিসায় লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই আপনারা চাইলে এ
সকল কোম্পানিগুলোতে জব আবেদন করতে পারবেন।
সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন
নিউজিল্যান্ডের ভিসা ফি কত?
উত্তরঃ অনলাইনে ৪৩০ থেকে ৪৫০ টাকার মত।
বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের এম্বাসি কোথায়?
উত্তরঃ বনানী ঢাকা।
নিউজিল্যান্ডে সর্বনিম্ন বেতন কত?
উত্তরঃ ৮ থেকে ১০ ডলার মত।
লেখকের শেষ কথা-নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে
সম্মানিত পাঠক গন উপযুক্ত আলোচনা শেষে আপনারা ইতিমধ্যে নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা, স্পন্সর ভিসা বলতে কি বুঝায়, নিউজিল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে
কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন, নিউজিল্যান্ড স্পন্সর ভিসা কোম্পানি গুলো নামের তালিকা
ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বর্তমান নিউজিল্যান্ড সরকার যেহেতু দক্ষ এবং
অদক্ষ সবাইকে কর্মসংস্থানের জন্য ভিসার অনুমতি দিয়েছে।
এজন্য আপনারা চাইলে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারেন। আর আমরা আশাবাদী যে, আজকের আর্টিকেলটি
আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। এ ধরনের তথ্য পেতে আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি
নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।
স্টার বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url