কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ ২০২৫
কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ থেকে কিভাবে আবেদন করবেন। এ বিষয়টা জানার জন্য
অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ ভলিউম ব্যবহার করছে কিন্তু কোন তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না।
প্রিয় পাঠক গন চিন্তা করার কোনো কারণ নেই কারণ আমরা আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে
কানাডা ফ্রি ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কানাডা ফি ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন এটা জানার জন্য আমাদের আর্টিকেলের শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। কারণ আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় হল কানাডা ফি
ভিসা, বিস্তারিত জানতে নিচে পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
কানাডা ফি ভিসা ফ্রম বাংলাদেশ এই বিষয়টা অনেকে জানে না তাই আজকে আমরা খুব
সহজভাবে ফি ভিসা নিয়ে আলোচনা করব। অনেকেই বিদেশ যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করেছে
কিন্তু পরবর্তীতে বিদেশ যাওয়া হয়নি। তাদের জন্য ফি ভিসা পাওয়ার কিছু উপায়
রয়েছে আজকে আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
তাই এ বিষয়গুলো জানতে হলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। কারন
আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করি।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিসা ফি কিভাবে দিতে হয়
বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিসা ফি কিভাবে দিতে হয় এটা অনেকেই জানেন না। তাই আজকের
আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। কারণ আজকে ভিসা ফি
কিভাবে পেমেন্ট করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করব। বাংলাদেশের যে ধরনের স্ট্যান্ডার্ড
ব্যাংক রয়েছে তাদের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে হবে।
যা পরবর্তীতে কানাডা হাই কমিশনার কে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা
হবে। আবার আপনারা চাইলে কানাডা ব্যাংকের মাধ্যমে কানাডা ডলারের ইসু প্রদান করে
ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
কানাডা ভিসার জন্য কোন পোর্টাল ভালো
কানাডা ভিসার জন্য কোন পোর্টাল ভালো এটা জানার জন্য অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে
থাকে। তাই আমরা সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের সুবিধার্থে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য
আপনাদের সামনে শেয়ার করতে। তো চলুন দেরি না করে ভিসা পাওয়ার জন্য কোন পোর্টাল
ভালো এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। বর্তমান কানাডা ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে ভালো
পোর্টাল হল IRCC.
কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
কানাডা ভিসা ফি কিভাবে জমা দিবেন অথবা কারা জমা দিবেন তা জেনে নেওয়া ভালো। তো
চলুন কারা ভিসা ফি জমা দিতে পারবে তা জেনে নেওয়া যাক। আপনার যদি ১০ বছরের
বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা দেওয়া থাকে তাহলে নতুন করে বায়োমেট্রিক দেয়ার
প্রয়োজন হবে না। তবে আপনার অবশ্যই ভিসা প্রসেসিং ফি এবং ভিসা ফি সহ খরচ হতে পারে
প্রায় ১৫ হাজার টাকার মত।
তবে আপনার পাসপোর্ট সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদের থাকতে হবে। কানাডা ফি ভিসা আবেদন করতে চাইলে এই লিংকে প্রবেশ করতে পারেন। এখান থেকে আপনি যাবতীয় ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন।
কানাডা ফি ভিসা পাওয়ার উপায়
কানাডা ফি ভিসা পাওয়ার উপায় খুবই সহজ কিন্তু এর জন্য আপনার অবশ্যই কাগজপত্র
সঠিক হতে হবে। তবে কানাডা ফি ভিসা আবেদন করার আগে ভিসা নির্ধারণ করতে হবে যেমন
কয়েক ধরনের ভিসা আবেদন করা যায় যথাঃ-
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- ফ্যামিলি ভিসা
- কৃষি ভিসা
এই তিন ধরনের ভিসা সবচেয়ে বেশি আবেদন করা হয়। আপনি যে ধরনের ভিসা আবেদন করেন না
কেন আগে বিশ্বস্ত এজেন্সি খুঁজে বের করতে হবে। অথবা আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে
আবেদন করতে পারেন। তাই আপনার ডকুমেন্ট যদি সঠিক হয় তাহলে আপনি খুব সহজে ভিসা
পেয়ে যাবেন।
কানাডা ফি ভিসা আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগে
কানাডা ফি ভিসা আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগে নিচে সেই ডকুমেন্টগুলো উল্লেখ
করা হলঃ-
- ডিজিটাল বৈধ পাসপোর্ট লাগবে
- সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট লাগবে
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে
- জাতীয় পরিচয় পত্র, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কার্ড লাগবে
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট সনদপত্র লাগবে
- কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট লাগবে
- IELTS সার্টিফিকেট থাকলে সর্বনিম্ন স্কোর থাকতে হবে ৬ থেকে ৬.৫
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে
- ফিটনেসের জন্য হসপিটালের মেডিকেল সার্টিফিকেট লাগবে
- চারিত্রিক সনদপত্র লাগবে
এই সকল ডকুমেন্ট এর বাহিরে কোন কাগজপত্র লাগলে বিশ্বস্ত ভিসা এজেন্সির অফিসে
যোগাযোগ করতে হবে, অন্য পোস্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম
পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম অধিকাংশ মানুষই জানে না। আজকে
আমরা পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কিভাবে ভিসা চেক করা যায় সেই কৌশলগুলো আপনাদের সাথে
শেয়ার করব যথাঃ-
আরো জানুনঃ এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে মাহবুব আইটি ওয়েবসাইট ফলো করুন।
- একটা স্মার্টফোন অথবা ল্যাপটপের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ চালু করতে হবে।
- এরপর যেকোনো একটা ব্রাউজার ওপেন করে কানাডা ভিসা আবেদনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- ব্রাউজার ওপেন হওয়ার পরে পাসপোর্ট নাম্বার এবং জাতীয়তা বাংলাদেশ সিলেক্ট করে পরবর্তী অপশনে যেতে হবে।
- এরপর একটি ওটিপি নাম্বার দিয়ে ভিসার ধরন সিলেক্ট করতে হবে।
- অথোরিটি ঢাকা সিলেক্ট করে ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট বাটনে চাপ দিলে আপনার ভিসার পুরো বায়ো ডাটা চলে আসবে।
কানাডা ফি ভিসা পেতে কত টাকা লাগে
যারা কানাডায় ফি ভিসা নিয়ে কানাডা ভ্রমন করতে চায়। তাদের অবশ্যই কানাডায় যেতে
কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তবে যাদের ধারণা নেই তারা অবশ্যই
আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আপনি যদি সরকারিভাবে ফি ভিসা নিয়ে যেতে
চান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত।
আবার আপনি যদি বেসরকারিভাবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ হতে
পারে ৮ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মত।
কানাডা ফি ভিসা পেতে কত বয়স লাগে
কানাডা ফি ভিসা পেতে কত বয়স লাগে এটা জানতে গুগলে সার্চ দিচ্ছেন। তাহলে আপনার
চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ আমরা আপনাদের জন্য এ সম্পর্কে আলোচনা করব। বর্তমান
কানাডা ফি ভিসা পেতে সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স লাগে। এর কম বয়স হলে ভিসা আবেদন
রিজেক্ট করে দিবে।
FAQ'S
কানাডায় ভিসা ফি কোথায় দিতে হয়?
উত্তরঃ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, scotia bank এবং IRCC ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
কানাডা ভিসা ফি কত?
উত্তরঃ কানাডিয়ান ১০০ থেকে ১৫০ ডলার।
কানাডা ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
উত্তরঃ ১ থেকে ৪ মাসের মধ্যে।
শেষ মন্তব্য- কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ সম্পর্কে
সম্মানিত পাঠক গন আপনারা এতক্ষণ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ থেকে
কানাডা ভিসা ফি কিভাবে দিতে হয়, কানাডা ফি ভিসা পাওয়ার উপায় এবং কানাডা ফ্রি
ভিসা পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে ইত্যাদি বিষয় জানলেন। এজন্য আমরা আশাবাদী যে,
আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
কারণ আমরা অনেক কষ্ট করে আপনাদের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে থাকি। তাই আমাদের
আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটটি
নিয়মিত ভিজিট করবেন।
স্টার বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url