সোনালী ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার নিয়ম ও সোনালী ব্যাংকের পূর্ব নাম কি।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার নিয়ম এবং সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট কি
আসলেই ট্রান্সফার করা যায়। জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে সোনালী
ব্যাংকের ট্রান্সফার করার দরখাস্ত নিয়ম উল্লেখ করব।
প্রিয় পাঠক গন আপনি কি সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট ট্রান্সফার করার নিয়ম জানতে
চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আমরা আপনাদেরকে ব্যাংকের
ট্রান্সফার করার নিয়ম অথবা দরখাস্ত করার নিয়ম শিখিয়ে দিব। তাই আপনাদের কষ্ট
করে হলেও আমাদের আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
উপস্থাপনা
বর্তমান সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট ট্রান্সফার করার নিয়ম জানতে অধিকাংশ মানুষই
অনলাইনে সার্চ দিয়ে থাকে। তাইতো আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের সুবিধার্থে তৈরি করা
হয়েছে। বর্তমানে সাধারণ লেনদেনগুলো নিজস্ব ব্যাংকিং শাখায় করা যায়। সেই সাথে
ব্যাংকের লকার পাওয়ার, ক্রেডিট কার্ড, ঋণ ইত্যাদি সুবিধা গুলো নিজস্ব ব্যাংকিং
শাখায় পাওয়া যায়। এজন্য বেশিরভাগ মানুষ চাকরি ট্রান্সফার হওয়ার কারণে এক
জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যেতে হয়। ফলে ব্যাংকিং এর সার্ভিস পাওয়ার জন্য
ব্যাংকের ট্রান্সফার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট কি আসলেই ট্রান্সফার করা যায়
সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট কি আসলেই ট্রান্সফার করা যায় এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ
প্রশ্ন। কারণ বিভিন্ন চাকরিজীবী কর্মকর্তারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়
স্থানান্তর হয়ে থাকে। যার ফলে ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার প্রয়োজন হয়। তাই আপনি
চাইলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের শাখায় ট্রান্সফার হতে পারবেন। এর জন্য
আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্যাংকের চেক বই এবং
ট্রান্সফারের একটা দরখাস্ত ব্যাংকের ম্যানেজারের জমা দিতে হবে। এরপরে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে তারপর নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখায় কাঙ্ক্ষিত
একাউন্ট খুলতে পারবেন।
এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে একাউন্ট ট্রান্সফার করার সিস্টেম
এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে একাউন্ট ট্রান্সফার করার সিস্টেম নিচে উল্লেখ করা
হলঃ-
- দরখাস্ত লেখার মাধ্যমেঃ প্রাথমিকভাবে আপনি যে ব্যাংকের একাউন্ট ট্রান্সফার করার কথা ভাবছেন। সেজন্য আপনাকে একটা দরখাস্ত লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে ব্যাংকের একাউন্ট করেছেন সেই একাউন্ট অন্য শাখায় আছে কিনা তা জানার পরে দরখাস্ত লিখতে হবে। তবে সেখানে অবশ্য সেই ব্যাংকের শাখার নাম উল্লেখ করতে হবে।
- ডকুমেন্ট প্রদান করার মাধ্যমেঃ ব্যাংক ট্রান্সফারের সময় আপনার ব্যাংকের সকল ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে যেমন: চেক বই, ডেবিট কার্ড এবং অন্যান্য কাগজপত্র।
- ম্যানেজারের সাথে কথোপকথনঃ প্রয়োজন হলে ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে কথোপকথন করতে হবে।
- কাঙ্ক্ষিত ব্যাংক যোগাযোগের মাধ্যমঃ যে কোন সমস্যা হলে কাঙ্ক্ষিত ব্যাংকের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার নিয়ম
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার নিয়ম অথবা ট্রান্সফারের দরখাস্ত নিচে
উল্লেখ করা হলঃ-
- তারিখ.....
- বরাবর
- ম্যানেজার
- ঢাকা.…..
- বিষয়: সঞ্চয় হিসাব নম্বর (আপনার ব্যাংকের হিসাব নাম্বার দিতে হবে) ঢাকা স্থানান্তরের আবেদন।
- জনাব,
- সবিনয় নিবেদন এই যে,(আপনার ব্যক্তিগত সমস্যার কথা উল্লেখ করতে হবে)............... ঢাকা স্থানান্তর হওয়া প্রয়োজন।
- অতএব, বিনীত নিবেদনে যে,....................ঢাকা স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করছি।
- বিনীত নিবেদক,
- নাম:মোঃ:.........
- ঠিকানা:
- মোবাইল নম্বর:০১৭××××××××
সোনালী ব্যাংকের পূর্ব নাম কি ছিল
সোনালী ব্যাংকের পূর্ব নাম কি ছিল এটা অনেকে জানে না। তাই আপনারা আমাদের
আর্টিকেলের মাধ্যমে এই বিষয় জেনে নিবেন। সোনালী ব্যাংকের পুরো নাম ছিল বাংলাদেশ
ব্যাংক যা ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অন্য পোস্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন
সোনালী ব্যাংক সরকারি নাকি বেসরকারি?
উত্তরঃ সরকারি।
সোনালী ব্যাংকের মালিক কে?
উত্তরঃ পি এল সি।
সোনালী ব্যাংকে টাকা রাখা কি নিরাপদ?
উত্তরঃ ১০০% নিরাপদ।
শেষ মন্তব্য-সোনালী ব্যাংক একাউন্ট ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে
সম্মানিত পাঠক গন উপরের আলোচনা থেকে আপনারা ইতিমধ্যে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট
ট্রান্সফার করার নিয়ম এবং দরখাস্ত করার নিয়ম জানতে পেরেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন
চাকরি পেশাজীবী কর্মকর্তারা স্থান স্থানান্তরের জন্য ব্যাংকের একাউন্ট ট্রান্সফার
প্রয়োজন হয়। তাই আমরা আপনাদের সুবিধার্থে ব্যাংকের ট্রান্সফার করার সকল নিয়ম
প্রকাশ করেছি। এজন্য আমরা আশাবাদী যে, আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের অনেক উপকারে
আসবে। তাই আপনারা চাইলে এ ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট
করতে পারেন।
স্টার বিডি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url