বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে এবং বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত
বয়স লাগে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। কারণ
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করতে হয়।
সম্মানিত পাঠকগণ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট সংগ্রহ, ভিসা
আবেদন ফ্রি, পাসপোর্ট তৈরি, মেডিকেল রিপোর্টের সার্টিফিকেট দালাল অথবা এজেন্সির
উপর নির্ভর করে টাকা খরচ হয়। তাই আজকে আমরা এ সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করব।
উপস্থাপনা
প্রাচীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের মধ্যে অন্যতম রাষ্ট্র হল সৌদি আরব। এজন্য পুরো
পৃথিবীর মধ্যে ধর্মীয় রাষ্ট্রের মধ্যে সৌদি আরব একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। আর এদেশে
কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন কর্মী কাজের
উদ্দেশ্যে আসে। প্রতিবছর সৌদি আরবের সরকার সৌদি আসার জন্য ভিসা আবেদনের সুযোগ
তৈরি করে দিয়ে থাকে। শুধু তাই নয় সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি হজ এবং ওমরা
হজের জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশের নাগরিক এবং পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্র থেকে
মুসলমানরা হজের জন্য আসে। তবে সৌদি আরব আসার জন্য নির্দিষ্ট টাকা খরচ করতে হয়।
এজন্য আজকে আমরা বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়গুলো নিয়ে
আলোচনা করব। তো চলুন সময় নষ্ট না করে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত বয়স লাগে
বর্তমান সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসার উপর নির্ভর করে বয়স নির্ধারণ করা
হয়ে থাকে। তবে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়সের সীমা নেই বললেই চলে।
কিন্তু সৌদি আরবের সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সৌদি আরব যাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ও
সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণ করা আছে নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ-
- বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ২১ বছর বয়স হতে হবে।
- বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়স হতে হবে।
বাংলাদেশে সৌদি ভিসা প্রসেসিং এজেন্ট
বাংলাদেশে সৌদি ভিসা প্রসেসিং এজেন্ট সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি
কাজ। কারণ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ সময় দালাল অথবা
এজেন্টের মাধ্যমে যেতে হয়। তবে কোন একটা এজেন্টের মাধ্যমে কাজ করলে খুব দ্রুত
সৌদি ভিসা প্রসেসিং করা যায়। এক্ষেত্রে এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করলে
সৌদি আরব যাওয়ার জন্য খরচ একটু বেশি হয়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এ
সকল এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে খোঁজ খবর নিতে হবে।
সৌদি ভিসা প্রসেসিং কত দিন লাগে
যারা বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে চায় তাদের অবশ্যই সৌদি ভিসা প্রসেসিং কতদিন
লাগে এ বিষয়গুলো জানতে হবে। তাই আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে এ
বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উল্লেখ করব। বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব ভিসা প্রসেসিং করতে
ভিসা আবেদনকারীর প্রক্রিয়া এবং আবেদনকারীর পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ভিসার সময়
লাগে। তবে সৌদি ভিসা প্রসেসিং করতে আনুমানিক ২ থেকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে
সম্পূর্ণ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে দালাল অথবা এজেন্সির মাধ্যমে দ্রুত যাওয়া যায়। তাই
আজকে আমরা বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়গুলো জানবো। বর্তমান
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা হলেই হয়।
কিন্তু বিভিন্ন দালাল অথবা এজেন্সি মাধ্যমে গেলে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ভিসার দাম
বেশি দিতে হয়। শুধু তাই নয় মেডিকেল খরচ, ভ্যাকসিন, বিমানের টিকেট, সবকিছুর খরচ
মিলিয়ে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা লাগে।
সৌদি আরবের বিভিন্ন ভিসার নাম
বাংলাদেশে থেকে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসার উপর খরচ নির্ভর করে। তাই
সৌদি আরবের বিভিন্ন ভিসার নাম উল্লেখ করা হলঃ-
- টুরিস্ট ভিসা
- আমেল আইদি ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- মাজরার ভিসা
- হজের ভিসা
- কোম্পানি ভিসা
- চাওয়াক খাচ ভিসা
- আমেল মঞ্জিল ভিসা
- ফ্যামিলি ভিসা
টুরিস্ট ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব টুরিস্ট ভিসা পেতে আনুমানিক ৫০ থেকে ৭০
হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
আমেল আইদি ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব আমেল আইদি ভিসা পেতে আনুমানিক ৪ থেকে ৫
লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
বিজনেস ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব বিজনেস ভিসা পেতে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লক্ষ
টাকা খরচ হতে পারে।
মাজরার ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব মাজরার ভিসা পেতে আনুমানিক ৩ থেকে ৪ লক্ষ
টাকা খরচ হতে পারে।
হজের ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব হজের ভিসা পেতে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতো
আনুমানিক ব্যক্তিগত খরচ হতে পারে। ওমরা হজের জন্য ৭০ থেকে ২ লক্ষ টাকা আনুমানিক
খরচ হতে পারে।
কোম্পানি ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা পেতে আনুমানিক ৩ থেকে ৪
লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
চাওয়াক খাচ ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব এই ভিসা পেতে আনুমানিক তিন থেকে পাঁচ
লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
আমেল মঞ্জিল ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব আমেল মঞ্জিল ভিসা পেতে আনুমানিক ৩ থেকে
৪ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
ফ্যামিলি ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব ভিসা পেতে আনুমানিক এক লক্ষ বিশ হাজার
টাকার মত খরচ হতে পারে তিন মাসের ফ্যামিলি ভিসার জন্য।
এ সকল ভিসার মধ্যে বিজনেস ভিসা বাদ দিয়ে সকল ভিসার খরচ তিন থেকে চার লক্ষ টাকা।
সৌদি আরবের ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
সৌদি আরবের ভিসা পেতে কি কি কাগজপত্র লাগে নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ-
- কমপক্ষে ৬ মাসের বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন দুই কপি ছবি লাগবে।
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- ভিসা আবেদনপত্রের কপি সংগ্রহ করতে হবে।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট এ রিপোর্ট লাগবে।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে।
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট লাগবে।
উপরের ডকুমেন্টগুলো সঠিক থাকলে সৌদি আরবের ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
FAQ'S
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা বেতন কত হতে পারে? এখানে ক্লিক করুন
উত্তরঃ আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে।
সৌদি আরবের ভিসা প্রসেসিং কতদিন লাগতে পারে?
উত্তরঃ আনুমানিক ২ থেকে ৭ কার্য দিবস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
সৌদি আরবের সর্বনিম্ন বেতন কত হতে পারে?
উত্তরঃ আনুমানিক ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
লেখক এর শেষ কথা
প্রিয় পাঠক গন আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি
আরব যেতে কত টাকা লাগে এবং বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত বয়স লাগে ইত্যাদি
বিষয় জানলেন। আমরা সবসময় চেষ্টা করি বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের
সামনে উপস্থাপন করতে। এজন্য আমাদের আর্টিকেল গুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে
তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url