ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে - ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম।
ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এবং ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন করার উপায়
সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ জানতে চায়। এর কারণ হল পৃথিবীর সবচাইতে সুখী দেশগুলোর
মধ্যে ফিনল্যান্ড অন্যতম। আর এদেশে আসার জন্য সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করে।
সম্মানিত পাঠকগন আপনারা যদি ফিনল্যান্ড যেতে চান তাহলে অবশ্যই ফিনল্যান্ড
সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যেতে হবে। আর এজন্যই আজকে আমরা ফিনল্যান্ড যাওয়ার উপায়
এবং ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এজন্য অবশ্যই
আমাদের আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
উপস্থাপনা
পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে সুখী দেশগুলোর মধ্যে ফিনল্যান্ড অন্যতম। এর কারণ হল
ফিনল্যান্ডে কাজের সুযোগ সুবিধা এবং বসবাসের মনোরম পরিবেশ রয়েছে। আর এজন্য
ফিনল্যান্ডে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন কর্মী কাজের উদ্দেশ্য আসে। কিন্তু
যারা নতুন তাদের অধিকাংশ মানুষ ফিনল্যান্ড আসার উপায় সম্পর্কে জানেনা। তাই আজকে
আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এবং ফিনল্যান্ড
যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এজন্য আপনারা আমাদের আর্টিকেলের
সঙ্গে থাকুন।
ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোতে কাজের ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন।
এজন্য আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির কাজের সন্ধান খুঁজে বের করতে হবে এবং আপনি যদি
দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজে চাকরি সন্ধান খুঁজে পাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে
ফিনিশ ভাষা জানতে হবে। তাই ফিনল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন করার নিয়ম নিচে উল্লেখ
করা হলঃ-
- স্টেপ ১ঃ প্রাথমিকভাবে আপনি কোন কাজের উপর দক্ষ সেই কাজের উপর ভিত্তি করে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে হবে।
- স্টেপ ২ঃ আপনার আবেদন সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আপনাকে আপনার অঞ্চলের ফিনিশ অভিবাসন অফিস কেন্দ্রে গিয়ে আপনার পরিচয় সঠিকভাবে প্রমাণ করতে হবে।
- স্টেপ ৩ঃ ফিনল্যান্ড অফিস কেন্দ্রে আপনার আবেদন কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন অফিস পাশাপাশি আপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সম্মানিত পাঠকগন আপনার আবেদন সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আপনাকে কম পক্ষে দুই থেকে তিন
মাস ভিসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
ফিনল্যান্ড দেশের ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে
যে সকল প্রবাসী কাজের উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড যেতে চায় তাদের অবশ্যই ফিনল্যান্ড দেশের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ এদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং মনোরম পরিবেশ যেকোনো মানুষকে আকর্ষিত করে। এবং জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত তাই আজকে আমরা এদেশের ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যথাঃ-
ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কেঃ-
- ফিনল্যান্ডের অবস্থানঃ ফিনল্যান্ড এর অবস্থান উত্তর-মধ্য সমাজতান্ত্রিক দেশে। এদেশে চার পাশে রয়েছে নরওয়ে, রাশিয়া, সুইডেন, এবং বালল্টিক সাগরের সীমানার সাথে ভাগ করা।
- ফিনল্যান্ডের রাজধানীঃ ফিনল্যান্ডের রাজধানীর নাম হল হেলসিঙ্কি।
- ফিনল্যান্ডের আয়তনঃ ফিনল্যান্ডের আয়তন প্রায় ৩৩৮,৪২৪ বর্গ কিলোমিটার।
- ফিনল্যান্ডের আবহাওয়াঃ ফিনল্যান্ডের আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা এবং তাপমাত্রা অনেক কম। ফিনল্যান্ডে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে। যা পরিবেশের ভারসাম্য অনেক শীতল রাখে।
ফিনল্যান্ডের ভাষা এবং জনসংখ্যা সম্পর্কেঃ-
- ফিনল্যান্ডের জনসংখ্যাঃ ফিনল্যান্ডে প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন লোক বসবাস করে থাকে।
- ফিনল্যান্ডের ভাষাঃ ফিনল্যান্ডের প্রধান ভাষা হল ফিনিশ এবং সুইডিশ হল সরকারি ভাষা। যা ফিনল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকাতে এই ভাষা ব্যবহার করে থাকে।
ফিনল্যান্ডের সমাজ এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কেঃ-
- ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থাঃ ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা ইউরোপের অন্যন্য দেশের তুলনায় সেরা। এদেশের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উচ্চ।
- ফিনল্যান্ডের স্বাস্থ্য সেবাঃ ফিনল্যান্ডের স্বাস্থ্য সেবা তাদের নাগরিকের জন্য উচ্চমানের ব্যবস্থা করে থাকে।
- ফিনল্যান্ডের সমাজ ব্যবস্থাঃ ফিনল্যান্ডের সমাজ ব্যবস্থা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল।
ফিনল্যান্ডের অর্থনৈতিক কাঠামো সম্পর্কেঃ-
- ফিনল্যান্ডের মুদ্রাঃ এদেশের মুদ্রার নাম ইউরো।
- ফিনল্যান্ডের প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠানঃ ফিনল্যান্ডের প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠানের নাম হল: ইলেকট্রনিক্স, মেশিনারি, গেমিং ও প্রযুক্তি, কাগজ, বনজ পন্য, এবং টেলিকমিউনিকেশন ইত্যাদি।
- ফিনল্যান্ডের প্রযুক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানঃ ফিনল্যান্ডের প্রযুক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম হল: তথ্য প্রযুক্তি এবং মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন।
ফিনল্যান্ডের পর্যটন এলাকা সম্পর্কেঃ-
- ফিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঃ ফিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে রয়েছে লেক, আকর্ষণীয় এলাকা, প্রাকৃতিক বন ইত্যাদি। এদেশে শীতের মৌসুমে পর্যটন লোক বেশি লক্ষ করা যায়।
সম্মানিত পাঠকগন এই তথ্যগুলো আপনাদের ফিনল্যান্ড সম্পর্কে অনেক ধারণা দিবে। এদেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার কারণে বিশ্বের কাছে ফিনল্যান্ড অনেক বেশি পরিচিত।
ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
যারা ফিনল্যান্ডে পড়াশোনা করার জন্য ভিসা আবেদন করতে চান। তারা অবশ্যই আমাদের
আর্টিকেলের মাধ্যমে ফিনল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে জেনে নিবেন।
ফিনল্যান্ড ভিসা আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনার যোগ্যতা আছে কিনা সে বিষয়ে যাচাই
করতে হবে। আপনার যদি সে যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি আপনার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে
ফিনল্যান্ড অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন
করার পরে ২ থেকে ৪ মাস সময় লাগবে এবং অফলাইনে আবেদন করার ৩ থেকে ৫ মাসের মধ্যে
ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন।
ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম
ফিনল্যান্ড যাওয়ার বৈধ উপায় হল এজেন্সির মাধ্যমে। তবে সবচেয়ে হতাশ হওয়ার
বিষয় হল যে, বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড ভিসার কোন এজেন্সি নেই। তবে সবচেয়ে
আনন্দের বিষয় হল আপনি চাইলে ভারতের দিল্লিতে গিয়ে ফিনল্যান্ডের ভিসা এজেন্সি
থেকে আবেদন করতে পারেন। শুধু তাই নয় আপনারা চাইলে নিজেই সরকারিভাবে
ফিনল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারবেন। এজন্য ফিনল্যান্ডের ভিসা
আবেদন এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে হবে। এবং আপনারা ভারতের দিল্লি এম্বাসিতে যোগাযোগ
করে ভিসা আবেদন করতে পারেন। তার জন্য আপনাদের অবশ্যই সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে
আবেদন করতে হবে। ফিনল্যান্ড যাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সকল প্রসেস নিচে উল্লেখ করা হলঃ-
ফিনল্যান্ড ভিসার ব্যবহার সম্পর্কেঃ-
- দেশের নাগরিকের ভিসাঃ ইউরোপীয় ইউনিয়নের যতগুলো দেশ রয়েছে। তাদের নাগরিক ফিনল্যান্ডে আসতে ভিসার ব্যবহার প্রয়োজন নেই। তবে তারা ৯০ দিন পর্যন্ত ফিনল্যান্ডে থাকতে পারবে।
- অন্য দেশে নাগরিকের ভিসাঃ ইউরোপের বাইরের দেশের নাগরিক ফিনল্যান্ডে আসতে ভিসার ব্যবহার প্রয়োজন রয়েছে।
ফিনল্যান্ডে আসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবেঃ-
- ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে।
- সর্বনিম্ন তিন মাসের মেয়াদি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি থাকতে হবে।
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য থাকতে হবে যেমন: ফ্লাইটের টিকিট কপি এবং হোটেল বুকিং এর প্রমাণ থাকতে হবে।
- ভ্রমণের বীমা থাকতে হবে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার ইউরো।
- আর্থিক সচলতার প্রমাণ থাকতে হবে।
- কাজের প্রমাণ থাকতে হবে যেমন: চাকরির নিয়োগপত্র সার্টিফিকেট।
ফিনল্যান্ডের ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কেঃ-
- ফিনল্যান্ডের দূতাবাসে এবং এম্বাসিতে ফিনল্যান্ডের ভিসা আবেদন ফরম জমা দিতে হবে।
- ভিসা আবেদনের নির্দিষ্ট ফি এম্বাসিতে জমা দিতে হবে।
- ভিসা আবেদন অফিসে ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
- সকল ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার পরে কাগজপত্র যাচাই করতে হবে।
- সকল ডকুমেন্ট ঠিকঠাক থাকলে তারপর ভিসা প্রদান করা হবে।
ফিনল্যান্ডে যাওয়ার আগের প্রস্তুতি সম্পর্কেঃ-
- ফিনল্যান্ডে যাওয়ার আগে প্রাথমিকভাবে টিকিট বুকিং করতে হবে।
- ফিনল্যান্ডে যাওয়ার আগে সেখানে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা বুকিং কনফার্ম করতে হবে।
- ফ্রিনল্যান্ড যাওয়ার আগে ফিনল্যান্ডের কিছু ইউরো সংগ্রহ করে নিতে হবে।
ফিনল্যান্ডে যাওয়ার পরের প্রস্তুতি সম্পর্কেঃ-
- ফিনল্যান্ড পৌঁছানোর পরে এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশনে সকল কাগজপত্র দেখাতে হবে।
- ইমিগ্রেশন চেক সম্পূর্ণ হওয়ার পর ট্রেন অথবা বাসে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে হবে।
এই ধরনের নির্দেশনা মেনে চলতে পারলে আপনি খুব সহজে ফিনল্যান্ডে পৌঁছাতে পারবেন।
ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
ইউরোপীয় যতগুলো দেশ রয়েছে তারমধ্যে ফিনল্যান্ড যেতে অনেক টাকা বেশি লাগে। তাই
যারা নতুন অবস্থায় ফিনল্যান্ড যেতে চায় তারা অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়বেন। কারণ আজকে আমরা ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে সে বিষয় নিয়ে
আলোচনা করব। বর্তমান বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড বিমান ভাড়া ৯০ হাজার থেকে ২
লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
শুধু তাই নয় ফিনল্যান্ড যাওয়ার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট তৈরি করতে হবে তার জন্য
৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এবং ভিসা আবেদন করতে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা
খরচ হতে পারে। সর্বশেষ বাংলাদেশ থেকে ফিনল্যান্ড যাওয়ার জন্য মোট খরচ ৬ থেকে
১২ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
ফিনল্যান্ড যেতে কি ডকুমেন্ট লাগে
আপনারা ইতিমধ্যে ফিনল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে এ বিষয়টা জেনে গেছেন। এখন আমরা
জানবো ফিনল্যান্ড যেতে কি ডকুমেন্ট লাগে এই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলঃ- এখানে ক্লিক করুন
- আপনার কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- আপনার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি থাকতে হবে।
- আপনার ভিসা আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
- আপনার ব্যাংকের স্টেটমেন্ট থাকতে হবে।
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- আপনার কাজের দক্ষতার প্রমাণ থাকতে হবে।
- আপনার মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- আপনার ওয়ার্ক পারমিট ডকুমেন্ট থাকতে হবে।
সম্মানিত পাঠকগন উপরের সকল ডকুমেন্ট ঠিক থাকলে আপনি ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
এজন্য আপনার সকল ডকুমেন্ট এর কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে।
ফিনল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি
ফিনল্যান্ডে যাওয়ার আগে অবশ্যই ফিনল্যান্ড কোন কাজের চাহিদা বেশি এর সঠিক তথ্য
জানতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ফিনল্যান্ডে যতগুলো কাজ রয়েছে সব
গুলো কাজে চাহিদাই বেশি। এজন্য অবশ্যই আপনার কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে
হবে। ফিনল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ-
- ডেলিভারি ম্যান জাতীয় কাজ
- ড্রাইভার জাতীয় কাজ
- ওয়েটার জাতীয় কাজ
- ইলেকট্রিশিয়ান জাতীয় কাজ
- নির্মাণ শ্রমিক জাতীয় কাজ
- ক্লিনার জাতীয় কাজ
- বিক্রয় কর্মী জাতীয় কাজ ইত্যাদি
এ সকল কাজের চাহিদা ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি। এজন্য আপনার যদি এ সকল কাজের
অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে খুব সহজে এই কাজের উপর ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
ফিনল্যান্ড মুদ্রার নাম
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের টাকার নাম রয়েছে ঠিক তেমনি ইউরোপীয় দেশগুলোর টাকার মান রয়েছে। তাই আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে ফিনল্যান্ড মুদ্রার নাম প্রকাশ করব। বর্তমান ফিনল্যান্ড মুদ্রার নাম হল ইউরো।
ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টাকার মান বাংলাদেশের টাকার সাথে পার্থক্য রয়েছে। তাই আজকে আমরা ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা তা জানবো। বর্তমান ফিনল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের ১২৭ টাকা ১২ পয়সা। তবে সময়ের সাথে সাথে এই টাকার মান পরিবর্তন হতে পারে।
ফিনল্যান্ডের বিভিন্ন টাকার মান বাংলাদেশে কত
আপনারা ইতোমধ্যে ফিনল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা জানতে পেরেছেন। এখন ফিনল্যান্ডের বিভিন্ন টাকার মান বাংলাদেশে কত নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ-
- ফিনল্যান্ডের 1 ইউরো= বাংলাদেশের 127 টাকা 20 পয়সা।
- ফিনল্যান্ডের 5 ইউরো= বাংলাদেশের 635 টাকা 60 পয়সা।
- ফিনল্যান্ডের 10 ইউরো= বাংলাদেশের 1271 টাকা 20 পয়সা।
- ফিনল্যান্ডের 20 ইউরো= বাংলাদেশের 2542 টাকা 40 পয়সা।
- ফিনল্যান্ডের 50 ইউরো= বাংলাদেশের 6356 টাকা জিরো পয়সা।
- ফিনল্যান্ডের 100 ইউরো= বাংলাদেশের 12712 টাকা জিরো পয়সা।
- ফিনল্যান্ডের 1000 ইউরো= 127120 টাকা জিরো পয়সা।
- ফিনল্যান্ডের 10000 ইউরো= বাংলাদেশের 1271200 টাকা জিরো পয়সা।
ফিনল্যান্ড কোন কাজের কত বেতন ধরা হয়
ফিনল্যান্ডে কোন কাজের কত বেতন ধরা হয় নিচে তা উল্লেখ করা হলঃ-
- যারা কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করে তাদের বেতন ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ধরা হয়।
- যারা plumber হিসেবে কাজ করে তাদের বেতন ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ধরা হয়।
- যারা ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করে তাদের বেতন আড়াই লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধরা হয়।
- যারা ফ্যাক্টরিতে জব করে তাদের বেতন ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধরা হয়।
- যারা ওয়েল্ডার হিসেবে কাজ করে তাদের বেতন ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধরা হয়।
- যারা ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করে তোদের বেতন আড়াই থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধরা হয়।
এ সকল কাজগুলোর বেতন সবচেয়ে বেশি তাই আপনি যদি এই সকল কাজ দক্ষতার সাথে শিখে
আসেন তাহলে ফিনল্যান্ড ভালো বেতন ধরা হবে।
FAQ'S
ফিনল্যান্ডের মুদ্রার নাম কি?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ডের মুদ্রার নাম হলঃ- ইউরো।
ফ্রিনল্যান্ডে যেতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ডে যাওয়ার জন্য ভিসা তৈরি করতে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগে।
ফিনল্যান্ডে খাবার দাম কত?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ডের খাবারের দাম অন্য দেশে তুলনায় ২০ থেকে ৩০% বেশি।
ফিনল্যান্ডে টিউশন ফি কত?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ডের টিউশন ফি ৮ থেকে ১২ হাজার ইউরো।
ফিনল্যান্ডে পড়তে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ডে পড়তে ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার ইউরো লাগে।
ফিনল্যান্ড কেমন দেশ?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ড হল সমাজতান্ত্রিক দেশ এবং অর্থনৈতিক কাঠামো অনেক শক্তিশালী।
ফিনল্যান্ডের ভাষার নাম কি?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ডের ভাষার নাম দুটি যথা: ফিনিশ এবং সুয়েডীয়।
ফিনল্যান্ডের সর্বনিম্ন মাসের বেতন কত?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ডের সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা।
ফিনল্যান্ডের রাজধানী কোনটি?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ডের রাজধানীর নাম হলঃ- হেলসিঙ্কি।
ফিনল্যান্ড কি আসলে মুসলিম দেশ?
উত্তরঃ জি হা, ফিনল্যান্ড মুসলিম দেশ। তবে ধীরে ধীরে ফিনল্যান্ডের মুসলমানের
সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফিনল্যান্ড কত ঘন্টা রাত থাকে?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ড রাত ৫১ দিন পর্যন্ত এবং দিন ৭৩ দিন স্থায়ী হয়।
বাংলাদেশে কি ফিনল্যান্ডের দূতাবাস আছে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ ফিনল্যান্ডের ৫০টি দ্রুতবাস আছে।
ফিনল্যান্ড কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ফিনল্যান্ড উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের বালটিক সাগরের উপকূলে অবস্থান করছে এই
রাষ্ট্রটি।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
সম্মানিত পাঠক গন আপনারা উপযুক্ত আলোচনা থেকে ইতিমধ্যেই ফিনল্যান্ডে যেতে কত টাকা
লাগে এবং ফিনল্যান্ডে যাওয়ার নিয়ম জানতে পেরেছেন। যেহেতু ফিনল্যান্ড একটি
শান্তি প্রিয় এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক শক্তিশালী দেশ। তাই এদেশে আসার জন্য
অধিকাংশ মানুষই ভিসা আবেদন করে থাকে। এজন্য আপনার যদি সকল কাগজপত্র সঠিক থাকে
তাহলে কাজে দক্ষতা নিয়ে ফিনল্যান্ডে আসতে পারেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করি নতুন
নতুন তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে। আর আমরা আশা করি যে, আজকের
আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। শুধু তাই নয় আমাদের আর্টিকেলটি যদি
আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url