তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় এবং তলপেটে মেদ জমে কেন এই বিষয়টা নিয়ে অধিকাংশ মানুষই চিন্তিত। তাই আজকের পর থেকে আপনাদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কারণ আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে তলপেটে চর্বি কমানোর কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়
সম্মানিত পাঠক গন তলপেটের চর্বি মানবদেহের জন্য বেশি ক্ষতিকর। আর এ চর্বি কিভাবে কমানো যায় সে বিষয় নিয়ে আজকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের সামনে শেয়ার করব। এজন্য অবশ্যই আপনারা আমাদের আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

উপস্থাপনা

মানব দেহের সবচেয়ে ক্ষতিকর উপাদান তলপেটে চর্বি জমা। তলপেটে চর্বির কারণে মানব দেহে সবচেয়ে ভয়ংকর কিছু রোগ তৈরি হয়ে থাকে যেমনঃ-

  • স্টোক
  • হৃদরোগ
  • ক্যান্সার
  • ডায়াবেটিসহ বিভিন্ন রোগ
এক কথায় তলপেটে চর্বি হওয়ার জন্য বেশ কিছু কারণ রয়েছে যথাঃ-

  • তেলুক জাতীয় খাবার
  • ব্যায়াম না করা
  • অলস জীবনযাপন
  • অনিদ্রা
এই ধরনের অভ্যাসের কারণে তলপেটে চর্বি জমে থাকে। তাই আজকে আমরা তলপেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তলপেটে মেদ জমে কেন

তলপেটে মেদ জমে কেন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কারণ বেশিরভাগ মানুষ তলপেটের মেদ সমস্যায় ভুগে থাকে। তলপেটে মেদ হওয়ার অন্যতম কারণ হল: অতিরিক্ত তেলুক জাতীয় খাবার খাওয়া, নিয়মিত ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত অলস জীবনযাপন পালন করা এবং ব্যায়াম না করা অন্যতম কারণ।

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় হল বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দ্রব্য বাস পরিবর্তন করা। শুধু তাই নয় অনিয়ন্ত্রিত ঘুমের কারণে পেটে চর্বি বারার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যেগুলো অনুসরণ করার ফলে আপনাদের পেটের চর্বি বারার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। তাই সময় নষ্ট না করে আপনারা আমাদের আর্টিকেল সঙ্গে থাকুন।

দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করা

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় হল দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করা। এর কারণ হল দ্রুত খাবার খেলে পেট ভরে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর পাকস্থলী থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছাতে আনুমানিক ২০ মিনিট সময় লাগে। তাই পেট ভরেছে কিনা মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছানোর আগেই খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পেটের মেদ কমানোর জন্য ধীরে ধীরে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে এবং দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।

তিন বেলা খাবার খাওয়া অভ্যাস করা

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় হল তিন বেলা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা। আমরা বেশিরভাগ সময় সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে দুপুরে একসঙ্গে খাবার খেয়ে থাকি। কারণ এক বেলা খাবার বাদ দিয়ে অন্য বেলা খাবার খাওয়া শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর যা পেটের মেয়াদ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। 
তল পেটের  চর্বি কমানোর  উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
এজন্য আমাদের সবার উচিত তিন বেলা পরিমাণ মতো হলেও খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা। কারণ খাবার বাদ পড়ে গেলে পরের বেলা খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যা চর্বি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা।

বড় প্লেটের পরিবর্তে ছোট প্লেটে খাওয়ার অভ্যাস করা

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় হল বড় প্লেটের পরিবর্তে ছোট প্লেটে খাওয়ার অভ্যাস করা। এর কারণ হল বড় প্লেটে খাবার খেলে খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এবং পেটের চর্বি আস্তে আস্তে বাড়তে পারে। এজন্য খাবারের প্লেট ছোট হলে খাবার কম খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে করে পেটের চর্বি তৈরি হতে বাধা বৃষ্টি করে। এজন্য বড় প্লেটের পরিবর্তে ছোট প্লেটে খাবার খাওয়া অভ্যাস করা।

সৌজন্যবোধ থেকে খাবার খাওয়ার অভ্যাস না করা

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় হল সৌজন্যবোধ থেকে খাবার খাওয়ার অভ্যাস না করা। কারণ আমরা বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গাতে দাওয়াত খাওয়ার জন্য গেলে সৌজন্যবোধ থেকে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলি। এজন্য এই ধরনের অভ্যাসগুলো থেকে এড়িয়ে চলতে পারলে পেটের চর্বি জমতে বাধা সৃষ্টি করবে। শুধু তাই নয় দাওয়াত খাওয়ার পরে আমরা বেশিরভাগ সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি যা শরীরের ওজন বাড়তে সাহায্য করে। তাই এ সকল অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে পারলে শরীরের ওজন কমতে সাহায্য করবে। এখানে ক্লিক করুন

মেন্টালিটি সমস্যা মোকাবেলা করা

তল পেটের চর্বি কমানোর অন্যতম উপায় হল মেন্টালিটি সমস্যা মোকাবেলা করা। কারণ মানসিক চাপ শরীরের মেদ তৈরি করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে কর্টিসল নামের এক ধরনের হরমোন বৃদ্ধি পায়। যার ফলে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার চাহিদা বেড়ে যায়। এই হরমোন বৃদ্ধি হওয়ার কারণে পেটের ক্ষুধা সহজে মেটে না। যার ফলে বারবার খাবার খেতে হয় এবং এই খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। কর্টিসল হরমোন বাড়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি জমে নিচে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ-

  • পিঠে চর্বি জমে
  • উরুতে চর্বি জমে
  • তলপেটে চর্বি জমে
কর্টিসল হরমোনের কারণে এ সকল জায়গাতে চর্বি জমতে পারে। এজন্য তলপেটের চর্বি বাধা সৃষ্টি করার জন্য মেন্টালিটির সমস্যা সমাধান করতে হবে।

উদাসীন মনে খাবার খাওয়া পরিহার করা

তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় হল উদাসীন মনে খাবার খাওয়া পরিহার করা। কি বিষয়টা বুঝতে পারলেন না, তাহলে চলুন বিষয়টা যেনে নেওয়া যাক। আমরা বেশিরভাগ সময় খাবার খাওয়ার পরে টিভি অথবা মোবাইল দেখার সময় উদাসীন মনে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। এতে করে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যায় এবং তলপেটে চর্বি জমে। শুধু তাই নয় অনেক সময় ক্ষুধা না লাগলেও নাটক অথবা সিনেমা দেখার সময় বিভিন্ন ধরনের ভাজি পুরী, চানাচুর জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি। যার ফলে শরীরে চর্বি তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার এগিয়ে চলা সর্বোত্তম।

অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন করা

তলপেটে চর্বি কমানোর অন্যতম উপায় হল অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন করা। কারণ আমরা বেশিরভাগ ফ্রি সময় কোন কাজ না করে ঘুমের অভ্যাস তৈরি করি। আর এই অতিরিক্ত ঘুম শরীরের ওজন বাড়তে সাহায্য করে এবং তলপেটে চর্বি তৈরি করে। তাই তলপেটে চর্বি কমানোর জন্য অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন করা।

ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করা

তলপেটের চর্বি দূর করার জন্য ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করা। আমরা যারা খাবার খেতে বেশি পছন্দ করি তাদের বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে। আর এজন্য শরীরে কোলেস্টরেল মাত্র বেড়ে যায় এবং পেটে চর্বি জমে। তাই তলপেটের চর্বি দূর করার জন্য ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিবার করা।

শুয়ে বসে না থেকে কাজ করার অভ্যাস করা

তলপেটে চর্বি দূর করার জন্য শুয়ে বসে না থেকে কাজ করার অভ্যাস করা। আমরা সাধারণত অলস ভাবে জীবন যাপন করতে বেশি পছন্দ করি। আর অলসভাবে জীবন যাপন করলে শরীরের মেদ জমে। 
শুয়ে বসে না থেকে কাজ করার অভ্যাস করা
তাই পেটে চর্বি দূর করার জন্য প্রতিদিন আধা ঘন্টা হাটা প্রয়োজন এবং বাহিরে কাজ করার অভ্যাস করা। অতিরিক্ত পরিশ্রম শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং তলপেটে চর্বি কমে।

FAQ'S

কি খেলে তলপেট কমে?

উত্তরঃ পালং শাক, ফুলকপি, কলা, শসা, জাতীয় খাবার খেলে তল পেট কমে।

পেটের ভুড়ি কিভাবে কমাবো?

উত্তরঃ গ্রিন টি, লাল চাল, লাল আটা খেলে ভুড়ি কমে।

শসা খেলে কি চর্বি কমে?

উত্তরঃ জি হা।

মুড়ি খেলে কি ওজন বাড়ে?

উত্তরঃ জি না।

লেখক এর শেষ কথা

সম্মানিত পাঠকগন উপযুক্ত আলোচনা শেষে আপনারা ইতিমধ্যে তল পেটের চর্বি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর আমরা আশা করছি যে, আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। আপনারা যদি আমাদের উপরের বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন তাহলে তলপেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। তাই আমাদের আর্টিকেলেটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url