মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা - মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার যোগ্যতা কি।
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এবং মালয়েশিয়া ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা কত ধরনের ইত্যাদি বিষয়ে যারা জানতে চায় আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র
তাদের জন্যই। আর এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই আর্টিকেলের
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
বর্তমান মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি প্রতিযোগিতামূলক বেতন নির্ধারণ করে শ্রমিক
নিয়োগ দিয়ে থাকে। আর এজন্যই বেশিরভাগ মানুষ তাদের কর্মজীবনের জন্য মালয়েশিয়া
যেতে চায়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে অনেকেই জানে না।
তাই নিচে এ সকল বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা।
ভূমিকা
যারা বর্তমান উন্নত জীবন যাপনের জন্য এবং উচ্চ বেতনের আশায় বিভিন্ন ধরনের চাকরি
খুঁজছেন। এজন্য মালয়েশিয়া হতে পারে আপনার জন্য অন্যতম জায়গা। এর কারণ হল
বর্তমান মালয়েশিয়াতে বসবাস সাশ্রয় মূল্যের জীবনযাত্রা এবং বিশ্বমানের
স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি মালয়েশিয়ার কোন কোম্পানিতে চাকরি করতে
চান তাহলে অবশ্যই মালয়েশিয়া চাকরির অফার সুনিশ্চিত করতে হবে। আপনি চাকরির
প্রস্তাব পাওয়ার পরে নিয়োগ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
করতে পারবেন। এবং কর্তৃপক্ষ যদি আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অনুমতি প্রদান করে
তাহলে আপনি মালয়েশিয়াতে গিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কত ধরনের
যারা মালয়েশিয়াতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চায়। তাদের অবশ্যই মালয়েশিয়া ওয়ার্ক
পারমিট ভিসা কত ধরনের জানতে হবে। বর্তমান আন্তর্জাতিক শ্রমিকদের ৩ ধরনের তাহলে
কোন অস্থায়ীভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রয়েছে। তবে মালয়েশিয়াতে সময়ের ভিত্তিতে
এ নীতিগুলো জারি করা হয়ে থাকে।
মালয়েশিয়াতে স্থায়ী চাকরির পাশ
মালয়েশিয়াতে স্থায়ী চাকরি পাস নেয়ার পরে কাজ করার অনুমতি পাওয়া যায়। এজন্য
অবশ্যই মালয়েশিয়া নিয়োগ কর্মকর্তাদের চাকরির নিয়োগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট
নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিয়োগ প্রদান করতে হবে। এই
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বৈধ ভাবে পাস এক থেকে পাঁচ বছরের সম্ভাবনা হয়ে থাকে।
অস্থায়ীভাবে মালয়েশিয়াতে চাকরি পাস
অস্থায়ীভাবে মালয়েশিয়াতে চাকরি পাস করার দুটি বিভাগ রয়েছে এবং এই
কর্মসংস্থানের সুযোগ মাত্র দুই বছরের জন্য হয়ে থাকে। নিচে সেই দুটি বিভাগ
সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ এখানে ক্লিক করুন
- FDH অস্থায়ী কর্মসংস্থান পাসঃ এই নিয়মটা জারি করা হয় শুধুমাত্র অনুমোদিত দেশ মহিলাদের জন্য। এই মহিলাদের কর্মসংস্থান হবে শুধুমাত্র বাসা বাড়িতে বয়স্ক এবং বাচ্চাদের খেয়াল রাখার জন্য। আর এই কাজকে বলা হয় ফরেন ডোমেস্টিক হেলপার।
- বিদেশী কর্মীদের জন্য অস্থায়ীভাবে কর্মসংস্থান পাসঃ যে সকল দেশগুলো আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত সেই দেশে কর্মীদের জন্য এই নিয়ম জারি করা হয়। এই কর্মীগুলো উৎপাদন, কৃষিকাজ, নির্মাণ এবং শিল্প খাতে কাজ করে থাকে।
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার যোগ্যতা কি
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার যোগ্যতা কি এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ
মালয়েশিয়াতে তিন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি যোগ্যতা লাগে এ বিষয়গুলো
জানতে হবে। তাই নিচে এ বিষয়গুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হলঃ
কর্মসংস্থান পাশের জন্য কি যোগ্যতা লাগে যথাঃ
- কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা জরুরী যেমনঃ ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট
- সব ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- প্রত্যেক মাসে সর্বনিম্ন ৩,০০০ টাকা মাসিক বেতন থাকতে হবে।
- প্রত্যেক বিভাগে প্রত্যেক মাসে "আরএমপি" ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
অস্থায়ী কর্মসংস্থান পাশের জন্য কি যোগ্যতা লাগে যথাঃ
- অনুমোদিত দেশের নাগরিক হতে হবে
- বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছর হতে হবে
- ডোমেস্টিক হেলপার কাজের হেল্পার মহিলা হতে হবে
- বয়স ২১ থেকে ৩৫ বছর হতে হবে
পেশাদার ভিজিট কর্মসংস্থান পাশে জন্য কি যোগ্যতা লাগে যথাঃ
- আন্তর্জাতিক শিল্পী
- চলচ্চিত্র
- কলাকৌশলী
- ধর্মীয় কর্মী
- সরকারি কর্মচারী
- প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থী
- প্রতিবেশী প্রভাষক
- স্বেচ্ছা সেবক ইত্যাদি
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কাগজপত্র লাগে
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কাগজপত্র লাগে নিচে সে সম্পর্কে আলোচনা
করা হলঃ
- আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
- পূরণকৃত ফরম সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
- বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- অভিজ্ঞতা কর্মসংস্থানের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি থাকতে হবে।
- আবেদনের রশিদ বিবরণ থাকতে হবে।
- মালয়েশিয়া কোম্পানি নিয়োগের চিঠি থাকতে হবে।
এই ধরনের কাগজপত্র থাকলে মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করা যাবে।
মালয়েশিয়ার ভিসার মূল্য কত
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদনের আগে অবশ্যই মালয়েশিয়া ভিসার মূল্য কত বিষয়গুলো জেনে
রাখা ভালো। তাই আজকে আমরা এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে কিছু তথ্য আপনাদের সামনে
উপস্থাপন করব যথা ঃ
মালয়েশিয়া কর্মসংস্থান পাস করা ভিসার মূল্যঃ
- পাসঃ আরএমপি ২০০
- প্রসেসিং ভিসা ফিঃ আরএমপি ১২৫
পেশাদার ভিজিট কর্মসংস্থান পাশ করা ভিসার মূল্যঃ
- আরএমপিঃ এৈমাত্রিক বছরে ৯০
- আর এমঃ প্রতিবছরে ৩৬০
লেখক এর শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগন উপরে আলোচনা থেকে আপনারা ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট
ভিসা কিভাবে আবেদন করতে হয় এবং ভিসা আবেদন করতে কি যোগ্যতা লাগে যাবতীয় বিষয়
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। শুধু তাই নয় আপনারা চাইলে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url