ইতালি ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং - ভিসা প্রসেসিং করতে কি ডকুমেন্ট লাগে।
ইতালি ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং কিভাবে করবেন এবং ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা খরচ
হতে পারে ইত্যাদি বিষয় জানা অত্যন্ত জরুরী। যারা ফ্যামিলি নিয়ে ইতালিতে যেতে
চান তাদের অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
বর্তমানে ফ্যামিলি ভিসা আবেদনের প্রসেসিং শুরু হচ্ছে তাই আপনারা যারা ফ্যামিলি
নিয়ে ইতালিতে যেতে চান তাদের জন্যই মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি। আজকে আমরা
ফ্যামিলি ভিসা সম্পর্কে আলোচনা করব তাই সময় নষ্ট না করে চলুন এই সম্পর্কে জেনে
নেওয়া যাক।
উপস্থাপনা
অধিকাংশ মানুষই আমাদের কমেন্ট বক্সে এসএমএস করে থাকে কিভাবে ফ্যামিলি ভিসার জন্য
ডিএফএল অর্থাৎ গ্লোবাল বাংলাদেশ ইতালি ভিসা আবেদন করতে হয়। শুধু তাই নয় কি কি
কাগজপত্র, সার্টিফিকেট এবং কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকে।
তাই আজকে আমরা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে তুলে ধরব।
এজন্য অবশ্যই আপনারা ধৈর্য ধরে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। নিচে ইতালি ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
ভিসা প্রসেসিং করতে কত টাকা খরচ হতে পারে
যারা নতুন অবস্থায় ইতালিতে ফ্যামিলি ভিসায় যেতে চায় তাদের অবশ্যই ভিসা
প্রসেসিং করতে কত টাকা খরচ হতে পারে ইত্যাদি বিষয় ধারণা থাকতে হবে। ভিসা
প্রসেসিং করতে কত টাকা ফ্রি প্রদান করতে হবে নিচে সেই সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলঃ এখানে ক্লিক করুন
- ভিসা অ্যাপ্লিকেশন করতে ১২,১৮০ টাকা খরচ হবে।
- ভিএফএস গ্লোবাল সার্ভিস চার্জের জন্য ১৬০০ টাকা খরচ হবে।
- ব্যাংক ড্রাফট করতে ২৩০ টাকা খরচ হবে।
সম্মানিত পাঠকগন উপরে বিভিন্ন বিষয়ের উপর যে টাকা খরচ হয়। সেগুলো সম্পন্ন করার
পরে ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন।
ইতালি ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং করতে কি ডকুমেন্ট লাগে
ইতালি ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং করতে কি ডকুমেন্ট লাগে। এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে
খুব সহজে ভিসা প্রসেসিং করা যাবে। ইতালি ফ্যামিলি ভিসা প্রসেস করার জন্য যে
ডকুমেন্ট দরকার তা নিচে উল্লেখ করা হলঃ
- ইতালি আবেদনকারী প্রাথমিকভাবে ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
- আবেদনকারীর ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
- আবেদনকারী নিজের স্বাক্ষর সহকারে বাচ্চা অথবা স্ত্রী এবং স্থানীয় অভিভাবকের স্বাক্ষর দিতে হবে।
- ডিজিটাল পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট এর কোন ভুল সংশোধন থাকলে স্কুল, কলেজের সার্টিফিকেট এবং এনআইডি কার্ড দিয়ে আবেদন পত্রে উল্লেখ করতে হবে।
- আবেদনকারীর নিজের নাম, পিতার নাম এবং জন্ম তারিখের সার্টিফিকেটের নাম একই থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর ফ্যামিলি সার্টিফিকেট নিজ এলাকার চেয়ারম্যান অথবা নিজ এলাকার কমিশনারের কাছ থেকে সত্যায়িত করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই দূতাবাসের নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুযায়ী সার্টিফিকেট তৈরি করতে হবে ( তার একটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হল )
- আবেদনকারীর বিয়ের সার্টিফিকেট থাকতে হবে তার সাথে অবশ্যই বিয়ের দিন ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার কলাম আকারে থাকতে হবে যথাঃ ১২ কলাম অথবা ২৪ কলামের পেজ নাম্বার উল্লেখ থাকতে হবে এবং ভলিউম নাম্বার, সিরিয়াল নাম্বার উল্লেখ থাকতে হবে।
- বিয়ের সার্টিফিকেট অবশ্যই বাংলা এবং ইংরেজিতে লেখা থাকতে হবে অথবা বিয়ের অরজিনাল সার্টিফিকেট কপি এবং বিয়ের ছবি থাকতে হবে।
- যদি দ্বিতীয় বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে আবেদনকারীকে অবশ্যই কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে যেমন : প্রথম বিয়ের ফ্যামিলি সার্টিফিকেট, প্রথম বিয়ের ম্যারেজ সার্টিফিকেট, প্রথম বিয়ের সার্টিফিকেট অবশ্যই বাংলা অথবা ইংরেজিতে হতে হবে,ডিভোর্স সার্টিফিকেট থাকতে হবে। শুধু তাই নয় অফিস থেকে অরজিনাল কবি বালামনামা বাংলা অথবা ইংরেজিতে লেখা থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর অথবা তার স্ত্রীর ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এর সিল থাকতে হবে যে বিয়ের সময় উপস্থিত ছিল।
- আবেদনকারীর সকল সার্টিফিকেট বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হবে।
- আবেদনকারী যদি টেলিফোনে বিয়ে করে থাকে তাহলে অবশ্যই টেলিফোনে বিয়ের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে কাজি অফিস থেকে এবং সাথে বিয়ের ছবি সংগ্রহ করতে হবে।
- টেলিফোনে বিয়ের সময় যারা দেশে উপস্থিত ছিল তেমন দুজন ব্যক্তির পাসপোর্ট অথবা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি থাকতে হবে।
- সার্টিফিকেটের উপর কোন লেখা কাটাকাটি করা যাবে না।
ইতালি থেকে দেশে যে সকল ডকুমেন্ট পাঠাতে হবে
ইতালি থেকে দেশে যে সকল ডকুমেন্ট পাঠাতে হবে সেই সকল তথ্যগুলো নিচে উল্লেখ করা
হলঃ
- আবেদনকারীর পাসপোর্ট এর প্রতিটা পেজের ছবি সত্যায়িত থাকতে হবে। আবেদনকারীর পাসপোর্ট যদি হারিয়ে যায় তাহলে ইতালির ডিবি অফিসে জিডি কপি নিয়ে ইতালির দূতাবাসে হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারী যদি টেলিফোনে বিয়ে করে থাকে তাহলে আবেদনকারীকে অবশ্যই ইতালিয়ান বাংলাদেশ দূতাবাস রোম অথবা মেলানো থেকে টেলিফোনে বিয়ের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।
- আবেদনকারী ইতালি থেকে টেলিফোনে বিয়ে করেছে তাদের স্বামী স্ত্রীর লিখিত বর্ণনা অথবা দুজন সাক্ষী উপস্থিত ছিল তার একটা লিখিত সনদ থাকতে হবে।
- আবেদনকারী টেলিফোনে বিয়ে করার সময় যে দুজন সাক্ষী ছিল তাদের পাসপোর্টের ফটোকপি সত্যায়িত থাকতে হবে।
- সর্বশেষ নুল্লা অস্থার সঠিক ডকুমেন্ট থাকতে হবে।
লেখকের শেষ কথা
সম্মানিত পাঠকগণ আপনারা ইতিমধ্যেই উপরের বিষয়গুলো থেকে ইতালি ফ্যামিলি ভিসা
প্রসেসিং কিভাবে করবেন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি উপরের
বিষয়গুলো ফলো করে ধারণা নিতে পারেন তাহলে ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং করতে সুবিধা
হবে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি নতুন নতুন তথ্য দিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে।
তাই আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই নিয়মিত ওয়েব
সাইটটি ভিজিট করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url