বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিন।

বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া নিতে চান এবং ফাস্ট ফুডের দোকান দিয়ে কত টাকা মুনাফা অর্জন করা যায় এ সকল আইডিয়া পেতে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকার পড়তে হবে। আজকে আমরা শিখবো অল্প পুঁজি দিয়ে কোন ব্যবসা গুলো করা যায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো।
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
প্রিয় পাঠক গন অল্প পুঁজি দিয়ে সবাই ব্যবসা করার চিন্তা করেন কিন্তু সঠিক আইডিয়া না থাকার কারণে এ সকল ব্যবসাগুলো সফল হওয়া সম্ভব হয় না। যারা অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসার আইডিয়া নিতে চান আজকের পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্য।

উপস্থাপনা

বর্তমানে বাংলাদেশে অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করার মত অনেক লাভবান ব্যবসা রয়েছে। আপনি চাইলে এ সকল ব্যবসা গুলো করে নিজের ব্যবসায় নিজে বস হয়ে বিভিন্ন কর্মচারী দিয়ে সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। কিন্তু এই ব্যবসা গুলো করার আগে অধিকাংশ মানুষই সঠিক আইডিয়া না থাকার কারণে ব্যবসা শুরু করতে পারেনা। বাংলাদেশের কিছু মানুষ রয়েছে যারা অতিরিক্ত ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বসে আছে কিন্তু সঠিক ডিসিশন না নেওয়ার কারণে ব্যবসা শুরু করতে পারে না। যারা এ সকল দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে ঘোরপাক খাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি। আজকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব তাই সময় নষ্ট না করে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে অনেকে বেশি চিন্তিত। তাদের চিন্তা করার কারণ নেই আজকে আমারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা সম্পর্কে  আলোচনা করব। আপনারা চাইলে সেই সকল ব্যবসাগুলো শুরু করতে পারেন। তবে ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই ধৈর্য ধরে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে হবে। নিচে সেই সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ফাস্ট ফুডের দোকান

ফাস্ট ফুডের দোকান বা রেস্টুরেন্ট বাংলাদেশে লক্ষাদিক তারপরেও ফাস্টফুড এর দোকান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ হলো অল্প পুঁজি দিয়ে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি চাইলে প্রাথমিকভাবে ১ থেকে ২ লাখ টাকা খরচ করে বাজারের মিডিল পয়েন্টে একটা ফাস্ট ফুডের দোকান দিতে পারেন। এরপরে ব্যবসা দাঁড়ানোর পরে ভালোভাবে দিতে পারবেন। বর্তমানে মানুষ ভোজন পিয়াসী কারণ অধিকাংশ মানুষই ফাস্টফুড জাতীয় খাবার গুলো খেতে বেশি পছন্দ করে। 


যেমন বিভিন্ন মানুষ বন্ধুবান্ধবদেরকে নিয়ে বিভিন্ন ফাস্ট ফুডের দোকানে বসে তাদের ভোজন পরিতৃপ্তি করার চেষ্টা করে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি লোকেরাও মাঝে মাঝে ফাস্ট ফুডের দোকানে গিয়ে খাবার খেতে পছন্দ করে। এর জন্য অবশ্যই ফাস্টফুডের দোকানে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শুধু পরিবেশ সুন্দর করলে হবে না সাথে সুস্বাদু খাবার তৈরি করতে হবে। মানুষ বেশিরভাগ সময়ে পরিবেশের উপর নির্ভর করে চলাফেরা করে। 
বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানুন
শুধু তাই নয় ফাস্টফুডের সাথে বিভিন্ন ধরনের ভারি খাবার রাখতে পারেন এ সকল খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে পিৎজা, বার্গার, বিরানি, কাচ্ছি, তেহেরি, ফ্রাইড রাইস, চিকেন মাসালা, শর্মা, নুডুলস, চিকেন তান্দুরি ইত্যাদি জাতীয় খাবার। এ সকল খাবারের ব্যবসা গুলো অল্প টাকা খরচ করে বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়।

কফি শপের দোকান

বাংলাদেশে কফি শপের দোকান এর ব্যবসা অনেক লাভজনক। যেমন আপনি বিজনেস মিটিং এ কোথাও গিয়েছেন অথবা বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘুরতে গিয়ে পার্সোনাল সময় কাটানোর সময় কফি অর্ডার করা হয়ে থাকে। কারণ কফির জনপ্রিতা পুরো বিশ্বজুড়া রয়েছে। এজন্য কফি শপের দোকান দিয়ে টাকা ইনকাম করার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য অবশ্যই উপযুক্ত একটি জায়গা খুঁজে সেই স্থানে কফি শপের দোকান দিতে হবে। এখানে ক্লিক করুন

তবে বিভিন্ন পার্ক অফিস আদালতের আশেপাশে বা শপিংমলের ভিতরে বা পাশে বিভিন্ন স্থানে এই কফি শপের দোকান দেওয়া যেতে পারে। আপনি চাইলে ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা খরচ করে এই কফি শপের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে বাংলাদেশের মানুষ দু ধরনের কপি খেতে বেশি পছন্দ করেন ব্ল্যাক কফি এবং হট কফি। কপির আবার আরো ধরণ রয়েছে যেমন, Americano,cappuccino, dopiyo, cortado, espresso, Red Eye ইত্যাদি। 

এ সকল বিদেশি কফি গুলো ব্যবহার করে কাস্টমারের আকর্ষণ তৈরি করতে পারেন। তবে যারা ব্যবসার আইডিয়া খুঁজেন আপনার চাইলে বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এ সকল ব্যবসাগুলো শুরু করতে পারেন।

কসমেটিক্স শপের দোকান

বাংলাদেশে কসমেটিক্স শপের দোকান অত্যন্ত জনপ্রিয় কারণ যত দিন যাচ্ছে কসমেটিক্স শপের দোকান তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ অধিকাংশ মানুষই রূপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য কসমেটিক্স ব্যবহার করে থাকে। এই ব্যবসাতে অল্প টাকা ইনভেস্ট করে বেশি টাকা মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে। যারা ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন আপনারা চাইলে এ ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কসমেটিক্স শপের দোকান দিতে প্রাথমিকভাবে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা ইনভেস্ট করে শুরু করতে পারবেন। এবং কসমেটিক্স ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে ৪০% থেকে ৫০% মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে কসমেটিক্স শপের দোকান শুরুর পরে ভালো কোম্পানি কাছ থেকে ভালো মানের কসমেটিক্স সামগ্রী কালেকশন করে বিক্রি করতে হবে। তাহলে বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সফল করতে পারবেন।

ওষুধের ডিলারশিপ ব্যবসা

বাংলাদেশ যতগুলো লাভজনক ব্যবসা রয়েছে এদের মধ্যে অন্যতম হল ওষুধের ডিলারশিপ ব্যবসা। তবে এই ব্যবসা শুরু করতে হলে অবশ্যই ভালো কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। শুধু তাই নয় আপনি চাইলে বাংলাদেশের বিভিন্ন হোলসেল মার্কেট থেকে ঔষধ ক্রয় করে ডিলারশিপ এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই রোগের প্রবণতা দেখা যায়। এজন্য যেকোনো সমস্যা সৃষ্টি হলেই ওষুধের দোকানে গিয়ে ওষুধ ক্রয় করে। যেহেতু ওষুধের ব্যবসা বাংলাদেশে একটি লাভজনক ব্যবসা। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করে ওষুধের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এবং প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বাচ্চাদের খেলনার দোকান

বাংলাদেশে বাচ্চাদের খেলনার পণ্য সবচেয়ে চাহিদা বেশি। বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে বাচ্চাদের খেলনা দোকান দিয়ে শুরু করতে পারেন। কারণ ১ থেকে দেড় যুগ আগেও খেলনার দোকানের অস্তিত্ব ছিল না। তবে বাংলাদেশ খেলনার দোকানে চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ হলো বাংলাদেশের অধিকাংশ ফ্যামিলিতে একটা দুটো বাচ্চা রয়েছে। যেহেতু বাচ্চাদের খেলনা চাহিদা বেশি এজন্য ঢাকার বিভিন্ন খুচরা পাইকারি দোকান থেকে খেলনা কিনে বেশি দাম বিক্রি করতে পারবেন। আপনি চাইলে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ করে এ সকল ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং প্রতিমাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনকাম করার সুযোগ তৈরি করতে পারেন।

আসবাবপত্র দোকানের ব্যবসা

বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হল আসবাবপত্র দোকানের ব্যবসা। বাংলাদেশে কাঠের তৈরি আসবাবপত্র চাহিদা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। কাঠের তৈরি আসবাবপত্র বিভিন্ন স্কুল কলেজ অফিস আদালত নতুন বাসা বাড়িতে প্রচুর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেহেতু এই ব্যবসার চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রাথমিকভাবে দোকান দিয়ে দক্ষ কারিগর মিস্ত্রির মাধ্যমে শুরু করতে পারেন। বর্তমানে প্রত্যেকটা ব্যবসাতে প্রচন্ড প্রতিযোগিতা রয়েছে। আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের নকশার ডিজাইন দিয়ে কাঠের আসবাবপত্র তৈরি করতে পারেন। তাহলে কাস্টমারের মনোযোগ আকর্ষিত হবে। আসবাব পত্রের দোকানের ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রাথমিকভাবে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এবং এই ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে ৪৫% থেকে ৫০% মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়।

ফটোগ্রাফি দোকানের ব্যবসা

বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে ফটোগ্রাফি দোকানের ব্যবসা। বর্তমানে ফটোগ্রাফি দোকানের ব্যবসার চাহিদা অনেক বেশি। বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা অনেক বেশি অধিকাংশ বেকার ছেলেরা চাকরির জন্য ছবি তুলে সিভি তৈরি করে। শুধু তাই নয় সৌখিনভাবে মানুষ ছবি তুলতে বেশি পছন্দ করে। এজন্য ফটোগ্রাফি দোকানের ব্যবসা হতে পারে টাকা ইনকামের অন্যতম হাতিয়ার। ফটোকপি দোকানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল ডিএসএলআর ক্যামেরা এবং ডেক্সটপ। 
ফটোগ্রাফি দোকানের ব্যবসা
এ সকল পণ্য কিনতে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ফটোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটি হল আপনার যদি বিভিন্ন মানুষের মাধ্যে ভালো লবিং থাকে এবং আপনার যদি ফটোগ্রাফির দক্ষতা ভালো থাকে। তাহলে বিভিন্ন বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনের বিয়ের প্রোগ্রামে ফটোগ্রাফি হিসেবে কাজ করতে পারবেন। ফটোগ্রাফার দোকানের ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

জুসের দোকানের ব্যবসা

বাংলাদেশে অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে জুসের দোকানের ব্যবসা। জুসের ব্যবসা বাংলাদেশের সবচেয়ে কম টাকা বিনিয়োগ করে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। এই ব্যবসা আপনি চাইলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন শহরের মার্কেটের সামনে ভ্যান গাড়ির উপরে বিভিন্ন ফলের রস বিক্রি করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফলের আমদানি হয়ে থাকে এই ধরুন আনারস, আম, তরমুজ, বাদামী, আপেল, কমলা, লেবু ইত্যাদি। আপনি চাইলে প্রাথমিকভাবে এ সকল ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ সকল ফলের রস প্রতি গ্লাস ৩০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি করা হয়। এজন্য জুসের দোকানের ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য সেরা আইডি।

শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক গন উপযুক্ত আলোচনা থেকে আপনারা ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন যে, বাংলাদেশে অল্প পুঁজি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে শুরু করতে পারবেন। বিশেষ করে উপরে যে সকল আলোচনা করা হলো আপনার যে ব্যবসাটা ভালো লাগে সেই ব্যবসা প্রাথমিকভাবে শুরু করতে পারেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ পরিশ্রম ছাড়া কোন ব্যবসা সফল হওয়ার সম্ভব না। আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। 


তাহলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট শেয়ার করে সহায়তা করবেন। আপনি চাইলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনের মধ্যে শেয়ার করে দিয়ে তাদেরকে ব্যবসায়িক উদ্যোগ হওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। পরিশেষে একটা কথা বলতে পারি আমাদের আর্টিকেলগুলো যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।এবং আমাদের আর্টিকেলগুলো পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url