অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা কিভাবে করবেন জেনে নিন।

অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা এবং পাইকারি ব্যবসা কি এ বিষয়গুলো জানার জন্য অনেক তথ্য খোঁজাখুজি করছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য। আজকে আমরা পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা
প্রিয় পাঠক গন অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসা করার মতো অনেক মাধ্যম রয়েছে। শুধুমাত্র সঠিক গাইডলাইন থাকলে এ সকল ব্যবসাগুলো করতে পারবেন। এ বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকার পড়তে হবে।

ভূমিকা

বর্তমান চাকরির পাশাপাশি মার্কেটে ব্যবসার চাহিদা অনেক বেশি। কারণ ব্যবসা থেকে বেশি মুনাফা অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই পাইকারি ব্যবসা করতে হবে। কারণ বেশি টাকা দিয়ে ব্যবসা করার সাহস মানুষের মধ্যে নেই। এজন্য অধিকাংশ মানুষই চায় অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করতে। পাইকারি ব্যবসাতে সবচেয়ে সুবিধা হল অল্প টাকা দিয়ে পণ্য কিনে বেশি টাকা বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়। পাইকারি ব্যবসার আরো একটি সুবিধা হল এখানে অন্যের আন্ডারে কাজ করতে হবে না।

আপনি নিজেই বস হয়ে নিজের ব্যবসা চালাতে পারবেন। শুধু তাই নয় আপনি চাইলে একটা দুইটা কর্মচারী রেখে সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারবেন। এজন্য বাংলাদেশে অন্য সেক্টরে কাজ করার চেয়ে পাইকারি ব্যবসার দিকে মানুষ বেশি মনোযোগ দিয়েছে। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করে কিভাবে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়। এই সকল বিষয়গুলো নিচে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হলো।

পাইকারি ব্যবসা কি?

পাইকারি ব্যবসা কি এই প্রশ্নটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাইকারি ব্যবসা বলতে নির্দিষ্ট কোন কোম্পানি তার নিজস্ব এলাকাতে যেকোনো পণ্য খুচরা দোকানদারের কাছে হোলসেল করাকে বোঝায়। আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে নির্দিষ্ট একটা কোম্পানি যেকোনো খুচরা দোকানদারের কাছে অল্প টাকায় পণ্য সেল করাকে বোঝায়। অন্যভাবে বলা যায় পাইকারি ব্যবসা বলতে যেকোনো দোকানদার বা ব্যবসায়ী অন্য জায়গা থেকে অল্প টাকায় পণ্য ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করাকে বোঝায়। বর্তমানে পাইকারি ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক এই ব্যবসাতে যে যত বেশি পণ্য কেনাবেচা করতে পারবে তার তত বেশি লাভ।

অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা কিভাবে করবেন জেনে নিন?

বর্তমানে ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করতে সবাই আগ্রহ প্রকাশ করে কিন্তু সঠিক গাইডলাইন না থাকার কারণে ব্যবসা আইডিয়া খুঁজে পায় না। যারা অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা কিভাবে করবেন। এ বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কারণ নেই আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য। যাদের টাকা অল্প কিন্তু ব্যবসা করতে চান। তাদের হতাশ হওয়ার কারন নেই অল্প টাকায় কি ব্যবসা করা যায় সে সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।

মুদি দোকানের পাইকারি ব্যবসা

মুদি দোকানের পাইকারি ব্যবসা অনেক জনপ্রিয়। কারণ বর্তমান অধিকাংশ বাজারে মুদি দোকানের পাইকারি ব্যবসা লক্ষ্য করা যায়। আপনি চাইলে কোনো বাজারে নির্দিষ্ট একটা স্থানে মুদির দোকান অথবা ডিলারী নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে যেকোন একটা কোম্পানির কাছ থেকে পণ্য নিতে হবে। এ ব্যবসা সবচেয়ে সুবিধা হল অন্য কোম্পানির কাছ থেকে খুচরো টাকায় পণ্য কিনে পাইকারি বিক্রি করা। মুদি দোকানের আরো একটা সুবিধা হল অন্য জায়গায় থেকে পাইকারি পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রি করে মুনা উপার্জন করা। এ সকল পণ্যের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল আলু, মরিচ, লবণ, মসলা, বিস্কুট ইত্যাদি। এই ব্যবসা করতে হলে কমপক্ষে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। তাই অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করে অধিক লাভবান হন। এখানে ক্লিক করুন

কসমেটিক্স দোকানের পাইকারি ব্যবসা

বর্তমানে কসমেটিক্স দোকানের পাইকারি ব্যবসা অনেক লাভজন। এর জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট একটা দোকান নিতে হবে। কসমেটিক্স এর ব্যবসা শুরু করতে হলে কমপক্ষে ১ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। এরপরে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে অল্প টাকায় পণ্য কিনে বিভিন্ন খুচরা দোকানে পাইকারি বিক্রি করতে হবে। শুধু তাই নয় খুচরা দোকানের পাশাপাশি নিজস্ব দোকানে বেশি টাকা বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়। বর্তমান সময়ে কসমেটিক্স এর ব্যবসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কসমেটিক্স এর ব্যবসা অধিক লাভজনক। এজন্য অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ঘড়ির দোকানে পাইকারি ব্যবসা

ঘড়ির দোকানে পাইকারি ব্যবসা অনেক লাভজনক এজন্য অবশ্যই বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। যে সকল ঘড়িগুলো নন ব্যান্ডের সেই ঘড়িগুলো খুচরা দামে কিনে পাইকারি বা বেশি দামে বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করা যাবে। তবে ঘড়ির ব্যবসা করার আগে অনেক ভেবে চিন্তে ব্যবসা শুরু করতে হবে। যেহেতু ঘড়ির ব্যবসা শুরু করতে একটু বেশি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু যদি এই ব্যবসা একবার দাঁড় করানো যায় তাহলে প্রতিমাসে ভালো মানের মুনাফ অর্জন করা যাবে। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে বাজারে যে সকল ঘড়ি চাহিদা বেশি সেগুলো কালেকশন করে বিক্রি করতে হবে।

ব্যাগের দোকানের পাইকারি ব্যবসা

বর্তমান পাইকারি ব্যবসার মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হল ব্যাগের ব্যবসা। বর্তমান স্কুল-কলেজের স্টুডেন্ট ছাড়াও মহিলারা ব্যাগ কিনতে বেশি পছন্দ করে। বাজারে যে সকল ব্যাগের চাহিদা রয়েছে সেগুলো কালেকশন করে বিক্রি করতে হবে। একটা ব্যাগের দোকান দিতে গেলে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা ইনভেস্ট করা প্রয়োজন। এবং বাজারে যেকোনো পয়েন্ট ভালো ব্যাগের দোকান দিয়ে অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করে বেশি লাভজনক হওয়া সম্ভব।

কাপড়ের দোকানের পাইকারি ব্যবসা

ভালোভাবে ব্যবসা করতে চাইলে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা শুরু করতে হয়। এবং ইনভেস্ট করার পরেও সেই ব্যবসা ভালো লাভজনক হবে কিনা সেটা নিয়ে সংখ্যায় থাকতে হয়। তাই পাইকারি ব্যবসার মধ্যে কাপড়ের ব্যবসা চাহিদা অনেক বেশি। বর্তমান বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তাঁতের কারখানা রয়েছে আপনারা চাইলে তাঁতের কারখানা থেকে অল্প টাকায় কাপড় কিনে খুচরা পাইকারি বিক্রি করে ভালো মানের মুনাফা অর্জন করতে পারেন। 
অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা কিভাবে করবেন জেনে নিন
তাহলে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কাপড়ের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে এই ধরুন জামদানি শাড়ি, তাঁতের কাপড়, থান কাপড়,বিভিন্ন থ্রি পিসের কাপড় ইত্যাদি। এই সকল কাপড় গুলো বিভিন্ন হাটে বাজারে থেকে পাইকারি কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে এরকম বাংলাদেশের কয়েকটি বিখ্যাত পাইকারি হাট রয়েছে যেমন,

  • করোটিয়া বিখ্যাত কাপড়ের হাট
  • শাহজাদপুর বিখ্যাত কাপড়ের হাট
  • ঢাকার মেরাদিয়া কাপড়ের হাট
  • পাবনার বিখ্যাত আতাইকুলা কাপড়ের হাট
  • ভুলতা গাউছিয়া কাপড় হাট
  • বেতাই পাইকারি জামা কাপড় হাট
  • পোড়াদহ কাপড়ের হাট
  • বর্ধমানের উত্তরা কাপড়ের হাট
  • চট্টগ্রামের বিখ্যাত কাপড়ের বাজার টেরিবাজার
  • দাসেরগাঁও বিখ্যাত কাপড় হাট
  • টঙ্গির বিখ্যাত কাপড়ের বাজার হাট
  • গাজীপুর চৌরাস্তা কাপড়ের হাট ইত্যাদি
এ সকল হাটে গিয়ে খুচরা দামে কাপড় কিনে পরবর্তীতে খুচরা পাইকারি দোকানে বিক্রি করার মাধ্যমে অধিক টাকা মুনাফা অর্জন করা যায়। তাই আপনারা চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

চাউলের দোকানে পাইকারি ব্যবসা

বর্তমান পাইকারি বাজারের মধ্যে জনপ্রিয় এবং সেরা ব্যবসা হল চাউলের ব্যবসা। এটি এমন একটি ব্যবসা যেটা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। বর্তমান অধিকাংশ মানুষই গ্রাম অঞ্চলে চাষাবাদ করে ধান গ্রামের রাইস মিলে নিয়ে চাউল তৈরি করে বাজারে বিভিন্ন খুচরা পাইকারি দোকানে বিক্রি করার মাধ্যমে বেশি টাকা লাভ করে। শুধু তাই নয় আপনি চাইলে যে কোন চাউলের মিলে অল্প দামে চাউল কিনে বেশি দামে পাইকারি বিক্রি করতে পারবেন এজন্য নির্দিষ্ট একটা দোকান প্রয়োজন। এ ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে দের থেকে ২ লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে পারলে ভালোভাবে ব্যবসা শুরু করা যায়। তাই বেকার বসে না থেকে সামান্য কিছু টাকা নিয়ে অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করে বেশি মুনাফা অর্জন করার সুযোগ তৈরি হতে পারেন।

কাগজের কারখানায় পাইকারি প্যাকেট বিক্রি

কাগজের কারখানায় পাইকারি প্যাকেট বিক্রি করে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু এর জন্য আপনাকে প্রথম কাগজের প্যাকেটের একটা কারখানা তৈরি করতে হবে। এরপর বিভিন্ন মহিলা কর্মচারী দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঠোঙ্গা প্যাকেট তৈরি করে পাইকারি বিক্রি করার মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জন করা যাবে। কারণ বর্তমান বিভিন্ন জায়গায় এই প্যাকেটগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই ধরুন,

  • মুড়ি বিক্রি করতে ঠোঙ্গা ব্যবহার।
  • বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাবার প্যাকেজিং করতে প্যাকেট ব্যবহার করা।
  • মিষ্টির দোকানে মিষ্টি প্যাকেজিং করতে প্যাকেট ব্যবহার।
  • বিভিন্ন মুদির দোকানে ঠোঙ্গার ব্যবহার ।
  • ওষুধের দোকানে ওষুধ বিক্রির সময় ঠোঙ্গার ব্যবহার।
এই সকল ঠোঙ্গা অথবা প্যাকেট তৈরি করে পাইকারি বিক্রি করার মাধ্যমে বেশি মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। এ সকল ব্যবসা শুরু করতে হলে কমপক্ষে ১ থেকে ২ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে মহিলা কর্মচারীর মাধ্যমে প্যাকেট ও ঠোঙ্গা তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এটি বর্তমানে অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করে বেশি লাভ।

চশমা দোকানের পাইকারি ব্যবসা

চশমা দোকানে পাইকারি ব্যবসা বর্তমান মার্কেটে বেশি লক্ষ্য করা যায়। চশমার ব্যবসা করতে হলে মার্কেটের ভালো একটা পজিশনে একটা দোকান নিতে হবে। এরপরে যেকোন কোম্পানির আন্ডার থেকে অল্প টাকায় চশমা নিয়ে বিভিন্ন খুচরা পাইকারি দোকানে বিক্রি করে বেশি টাকা ইনকাম করা যাবে। শুধু তাই নয় এ সব দোকানে নিজস্ব ভাবে চশমা বেশি দামে বিক্রি করে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। কারণ অধিকাংশ মানুষই চশমা ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করে। তাই ভালো কালেকশন করে অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করে বেশি টাকা ইনকাম করা সুযোগ তৈরি করতে পারেন। চশমার মোটামুটি দোকান দিতে এক থেকে দুই লাখ টাকা ইনভেস্ট করার মাধ্যমে ব্যবসাটা শুরু করা সম্ভব।

জুতার দোকানে পাইকারি ব্যবসা

জুতার দোকানের পাইকারি ব্যবসা অনেক লাভজনক। এই ব্যবসা বেশি টাকার প্রয়োজন হয় না। আপনারা অধিকাংশ সময়ই দেখেন যেকোনো শহরের মার্কেটে সামনে ভ্যানের উপর জুতার দোকান দিতে। আপনার যদি অল্প পুঁজি থাকে তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য। এজন্য প্রথমে একটা ঠেলা ভ্যান গাড়ি প্রয়োজন। এরপরে মার্কেটের ভালো পজিশনে জুতার দোকান দিয়ে তা শুরু করা। এই জুতার দোকান দিতে কমপক্ষে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারলে ব্যবসা ভালো করা সম্ভব। শুধু তাই নয় অল্প টাকায় জুতা কিনে বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করা যায়। তাই বেকার বসে না থেকে অল্প টাকা হলেও এই ধরনের ব্যবসা শুরু করে। অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসার মাধ্যমে বেশি টাকা ইনকাম করার সুযোগ তৈরি করতে পারেন।

ফুলের দোকানের পাইকারি ব্যবসা

ফুল হলো ভালোবাসার বহিপ্রকাশ বর্তমান সারা শহরে বিভিন্ন জায়গায় ফুলের দোকান লক্ষ্য করা যায়। কারণ ফুলের দোকানের পাইকারি ব্যবসা অধিক লাভজনক। আপনারা চাইলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে শহরের মিডিল পয়েন্টে দোকান দিতে পারেন। কারণ ফুল পাইকারি কিনে বেশি দামে বিক্রি করে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। 
ফুলের দোকানের পাইকারি ব্যবসা
ধরুন একটা গোলাপ ফুল ৫ টাকা দিয়ে কিনে ক্রেতার কাদের কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করা যায়। শুধু তাই নয় বর্তমানে প্রতিদিন বিভিন্ন বিয়ের জন্য ফুলের অর্ডার করা হয়ে থাকে। আপনি যদি এই ধরনের কাস্টমার ধরতে পারেন তাহলে ফুলের দোকানের ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক হবে। যেহেতু ফুলের দোকানে পাইকারি ব্যবসা অধিক লাভজনক সেহুতো আপনারা চাইলে অল্প পুঁজিতে পাইকার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

FAQ.


পাইকারি ব্যবসা কি লাভজনক?

পাইকারি ব্যবসা কি লাভজনক এমন ধরনের প্রশ্ন সবার মধ্যেই ঘোরপাক খায়। জি হা পাইকারি ব্যবসা বেশি লাভজনক এই ব্যবসাতে অল্প বুঝি দিয়ে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়।


পাইকারি ব্যবসা কোনগুলো বেশি লাভজনক?

বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের পাইকারি ব্যবসা রয়েছে। যে ব্যবসা গুলো অল্প টাকা ইনভেস্ট করে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। এ ধরনের ব্যবসার মধ্যে রয়েছে মুদির দোকান, কসমেটিক্স দোকান, ঘড়ির দোকান, ব্যাগের দোকান, কাপড়ের দোকান, চাউলের দোকান, কাগজের কারখানা, চশমার দোকান, জুতার দোকান, ফুলের দোকান ইত্যাদি।

শেষ মন্তব্য

উপরে আলোচনা থেকে ইতিমধ্যেই আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে, অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা কিভাবে করা যায়। বর্তমান চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বেশি রয়েছে সেখানে টিকে থাকা খুবই কঠিন। এজন্য ব্যবসা হিসেবে উপরের ব্যবসাগুলো ফলো করে নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের তথ্য অনুযায়ী হতে পেরেছে। তাই আমাদের পোস্টগুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধব, স্বজনের কাছে পোস্টটি শেয়ার করে দিয়ে তাদেরকেও ব্যবসায়িকভাবে উৎসাহিত করবেন। এবং আমাদের পোস্টগুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। অবশেষে আপনাদের দীর্ঘ আয়ু কামনা করে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url