ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় জানতে ক্লিক করুন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় কি? এবং শসার রসের ব্যবহার করার মাধ্যমে কি ব্রণ দূর করা যায়। এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। আজকের পর থেকে আপনাদের আর চিন্তা করার কারণ নেই। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সম্পর্কে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। যারা ব্রণ নিয়ে হতাশগ্রস্ত আজকের পোস্টটা শুধুমাত্র তাদের জন্য।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায়
প্রিয় পাঠক গন যে সকল মানুষ ব্রণের সমস্যার জন্য মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। আশা করি আজকের পোষ্টের বিষয়গুলো থেকে যে তথ্য পাবেন। পরবর্তী জীবনে আপনাদের মুখে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। তবে এ সকল বিষয়গুলো জানতে হলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

উপস্থাপনা

মুখ হল সৌন্দর্যের প্রতীক আর এই সৌন্দর্য পেতে সবাই আগ্রহী। কিন্তু আমাদের জীবনে কিছু কিছু সমস্যা এমনভাবে আবির্ভূত হয় যা পরবর্তী জীবনের জন্য খুবই হতাশ জনক। তেমনি মুখে সুন্দর্য নষ্ট করে ব্রণ এটি মানব জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। সাধারণত ত্বকের তৈলাক ত্বক ব্যাকটেরিয়া থেকে ত্বকের ভিতরে এন্ড্রোজেন হরমোনের বৃদ্ধির কারণে পুজ উপাদান তৈরি হয় যা পরবর্তীতে ত্বকের ভিতর থেকে ত্বকের উপরে ব্রণ আকৃতি ধারণ করে। 

বিশেষ করে ১৯ বছরের নিচে ছেলে মেয়ে উভয়ের মধ্যে ব্রণের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ত্বকের অযত্নের কারণে ছেলে মেয়েদের মুখে ব্রণ তৈরি হয়। কিন্তু বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করার ফলেও সমস্যার সমাধান হয় না। কিন্তু প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মানুষ এখনো ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করা উপাদান তৈরি করে ব্যবহার করে। ঠিক তেমনি আজকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় কি। এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে ব্রণ দূর করার গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করি।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় কি?

ছেলে মেয়ে দুই শ্রেণীর মানুষ মুখের সৌন্দর্য নিয়ে আশাবাদী। কিন্তু বয়সন্ধিকালে ১৯ বছরের নিচে ছেলে মেয়েদের মুখে ব্রণের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এটি মূলত হরমোনের সমস্যা। আমাদের মানব দেহে বিভিন্ন ধরনের হরমোন রয়েছে। এরমধ্যে এন্ট্রোজেন হরমোন এটি বৃদ্ধির কারণে বয়সন্ধিকালে ছেলে মেয়েদের মুখে ব্রণ তৈরি হয়। তবে এই সমস্যা একবার সৃষ্টি হলে অনেকদিন পর্যন্ত এ যন্ত্রণা ভুগতে হয়। এজন্য বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন সময়ে বাজারের বিভিন্ন মেডিসিন খেয়ে থাকে। কিন্তু এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য মেডিসিন খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় কি। তা আজকে আমরা এ বিষয়গুলোর সকল সমস্যার সমাধান করে দিব। নিচে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার বিষয় সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হলো।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে শসার রসের ব্যবহার

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় হল শসা। ঘরোয়া পদ্ধতিতে শসার রসের ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্রণ দূর করা যায়। আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন খাবারের সাথে শসা ব্যবহার করে থাকি। কারণ শসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ডি। যা ত্বকের ভিতর থেকে জীবানু দূর করতে সাহায্য করে। ঠিক তেমনি মুখের ব্রণ দূর করার জন্য শসা অত্যন্ত কার্যকরী। এটি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই প্রথমে ব্যান্ডের মাধ্যমে শসার রস তৈরি করতে হবে। তারপর মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। শুধু তাই নয় আপনি চাইলে শসা কুচি কুচি করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করতে পারেন। নিয়মিত এ পদ্ধতিটা ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজে মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে রসুনের ব্যবহার

রসুন হল ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায়। ঘরোয়া পদ্ধতিতে রসুনের ব্যবহার ব্রণ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে কম বেশি সবাই জানেন এটি শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে থাকে। ব্রণ দূর করতে হলে প্রথমে ১ থেকে ২ কোয়া রসুন থেকে রস বের করতে হবে। এরপরে রাতের বেলা ঘুমানোর আগে মুখ পানিতে পরিষ্কার করে রসুনের রস লাগিয়ে ঘুমাতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ১ থেকে ২ সপ্তাহ রসুনের রস ব্যবহার করা ফলে মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে লেবুর রস

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় হতে পারে লেবুর রস। লেবু আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন খাবারের সাথে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু লেবুর ব্যবহার সঠিকভাবে অনেকেই করতে পারে না। তাই আপনি চাইলে লেবুর রস ব্যবহার করে ব্রণ দূর করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই প্রথমে একটা লেবুর রস ছোট একটা বাটিতে সামান্য পরিমাণ চিনি সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। 
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় জানতে ক্লিক করুন
এরপরে নরম জাতীয় তুলার সাথে লেবুর রস নিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে ব্রণ দূর হয়ে যাবে। তাই আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে লেবুর রস ব্যবহার করে ব্রণের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চন্দন কাঠের গুড়া ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার

চন্দন কাঠের গুড়া ও কাঁচা হলুদ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় হতে পারে অন্যতম। চন্দন কাঠ বেশিরভাগ মানুষ চিনে থাকবেন এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। মুখের ব্রণ দূর করতে হলে ১ চামচ চন্দন কাঠের গুড়া ও কাঁচা হলুদ বেটে একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে একটা ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এরপরে মুখের ব্রণের স্থানে ফেসপ্যাক ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। মুখের ফেসপ্যাক শুকিয়ে যাওয়ার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। নিয়মিত ১ সপ্তাহ এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করা হলে আপনার মুখের ব্রণ আস্তে আস্তে দূর হবে। শুধু তাই নয় এটি মুখের ব্রণের সাথে ব্রণের দাগ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে তুলসী পাতার ব্যবহার

ঘরোয়া পদ্ধতিতে তুলসী পাতার ব্যবহার ব্রণ দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে আয়ুর্বেদিক উপাদান। এজন্য ব্রণ দূর করতে হলে প্রথমে ৮ /১০ টা তুলসী পাতা থেকে রস বের করুন। এরপরে তুলসী পাতার রস ব্রণের স্থানে লাগিয়ে রাখুন। তুলসী পাতা রস শুকিয়ে যাওয়ার পরে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ১ থেকে ২ সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ দূর হয়ে যাবে। এখানে ক্লিক করুন

ঘরোয়া পদ্ধতিতে মধু ও আপেলের ব্যবহার

মধু ও আপেল সংমিশ্রণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় হতে পারে সেরা মাধ্যম। ঘরোয়া পদ্ধতিতে মধু ও আপেল ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্রণের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। এর জন্য প্রথমে ১ টুকরো আপেল এক চামচ মধুর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে একটা ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এরপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ভালোভাবে ব্রণের স্থানে ফেস প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপরে ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে যাওয়ার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ১ থেকে ২ সপ্তাহ ব্যবহার করার ফলে ব্রণের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে। মধু ও আপেলের সংমিশ্রণ ব্যবহার করে মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয় এই ফেস প্যাক ব্যবহার করে মুখের কুঁচকানো চামড়া অনেকটা টাইট করে ফেলে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডিমের ব্যবহার

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডিমের ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্রণের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব। ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটা উপাদান এবং ডিমের মধ্যে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। মুখের ব্রণ দূর করতে হলে ডিমের ব্যবহার বিকল্প নেই। এজন্য প্রথমে একটা ডিম ভেঙে ডিমের যে সাদা অংশ রয়েছে সেটা বের করতে হবে। এরপর আপনারা চাইলে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস সংমিশ্রণ করে নিতে পারেন। এরপরে ডিমের সংমিশ্রণ ভালো ভাবে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর যদি শুধু ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগাতে চান তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে ভালোভাবে লাগিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিম পাতা ও মুলতান মাটির ব্যবহার

ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিম পাতা ও মুলতান মাটির ব্যবহার করে মুখের ব্রণ দূর করা যায়। নিম পাতা ও মুলতান মাটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। ব্রণের সমস্যা দূর করতে হলে প্রথমে 8 থেকে 10 টা নিম পাতা ভালোভাবে বেটে সামান্য পরিমাণ মুলতান মাটি এবং ১ থেকে ২ চামচ গোলাপ জল একসাথে সংমিশ্রণ করে একটা ফেস প্যাক তৈরি করুন। 
ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিম পাতা ও মুলতান মাটির ব্যবহার
এরপরে এই ফেস প্যাকটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপরে ফেসপ্যাক শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এবং এই ফেসপ্যাকটি নিয়মিত ১ সপ্তাহ ব্যবহার করলে ব্রণ আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে। যারা ব্রণের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত আপনারা চাইলে ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করে এ সকল সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক গন উপযুক্ত আলোচনা থেকে আপনারা ইতিমধ্যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার উপায় জেনে গেছেন। যে সকল ছেলেমেয়েরা ব্রণের সমস্যায় আক্রান্ত এবং বাজারের বিভিন্ন মেডিসিন সেবন করার ফলেও সমস্যার সমাধান পারছেন না। আপনারা চাইলে খুব সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্রণ দূর করার জন্য উপরের পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে ব্রণের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন। কারণ ব্রণ মানুষের মুখের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে ফেলে। 

আশা করি আপনারা যে তথ্যটি খুঁজছেন আমরা আপনাদের কাছে সে তথ্যটি দিতে পেরেছি। আমরা বরাবরই চেষ্টা করি আপনাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে। এজন্য আমাদের পোস্ট যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাদের পোস্টটি লাইক কমেন্ট শেয়ার করে দিয়ে সহায়তা করবেন। এবং আমাদের পোস্টগুলো যদি ভালো লাগে থাকে। অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করবেন। পরিশেষে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url