কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই এমন ৫টি খাবারের তালিকা।
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই এবং এলার্জি মুক্ত ধান্য খাবার কোন গুলো এই খাবারগুলো
সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে এলার্জি জাতীয় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই চিন্তার
কারন নেই আমরা আপনাদেরকে এই খাবার গুলোর সাথে পরিচয় করে দিব।
যে সকল খাবারে এলার্জি নেই সে সকল খাবার সম্পর্কে তথ্য পেতে অবশ্যই আমাদের
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
উপস্থাপনা
এলার্জি মানব শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। খাদ্য এলার্জি এটি একটি বর্ধমান
সমস্যা যা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে। এটি এমন একটি
প্রক্রিয়া যা নির্দিষ্ট খাবারের মধ্যে এলার্জি জাতীয় উপাদান গুলো পাওয়া
যায়। তাই আপনার যদি খাদ্য এলার্জি থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্য যে খাবার গুলো
সবচেয়ে নিরাপদ ও গুরুত্বপূর্ণ সেই সকল এলার্জি মুক্ত খাবার গুলো সম্পর্কে আজকে
আপনাদের সাথে পরিচয় করে দিব। কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই এ সম্পর্কে নিচে
বিস্তারিত আলোচনা করব।
এলার্জি মুক্ত ধান্য খাবার
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই এই খাবার গুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকলে এলার্জির
সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব না। এলার্জি মুক্ত খাবারের মধ্যে ধান্য জাতীয়
কিছু খাবার রয়েছে। নিচে এলার্জি মুক্ত
ধান্য খাবারের তালিকা দেওয়া হলঃ
- ভাত
- চাল
- পপকর্ন
- ওটমিল
- কোয়িনোয়া
ভাত
আমাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান খাবার হল ভাত। ভাত মানুষের শরীরের শক্তি জোগাতে
সাহায্য করে এবং ভাতের ভিতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। ভাত খেলে এলার্জি
জাতীয় সমস্যা দেখা দিবে না কারণ এটি এলার্জি মুক্ত খাবার।
চাল
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই তার মধ্যে রয়েছে চাল। চাল খেলে এলার্জি জাতীয়
সমস্যা হবে না।অনেকে ঘুম থেকে উঠে চালের সাথে পানি খেয়ে সকালে নাস্তা করে
থাকে। কারণ এটি এলার্জি মুক্ত জাতীয় খাবার তাই চাল খেলে কোন ক্ষতি নেই।
পপকর্ন
পৃথিবীতে যত ধরনের মজার খাবার রয়েছে তার মধ্যে পপকর্ন জাতীয় খাবার অনেক
মজার। তাই বেশির ভাগ মানুষ মাঠে-ঘাটে রিক্সায় চড়ে এবং সিনেমা হলে বসে
বন্ধু-বান্ধবের সাথে পপকর্ন খেয়ে থাকে। এ জাতীয় খাবার খেলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা
হবে না কারণ এটি এলার্জি মুক্ত জাতীয় খাবার।
ওটমিল
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই তার মধ্যে রয়েছে ওটমিল খাবার এই খাবার খেলে কোন
ক্ষতি নেই কারণ এটি এলার্জি মুক্ত জাতীয় খাবার। এই খাবার আপনি নিয়মিত খেতে পারেন
তাতে কোন ক্ষতি হবে না।
কোয়িনোয়া
এলার্জি মুক্ত ধান্য খাবারের মধ্যে রয়েছে কোয়িনোয়া এ জাতীয় খাবার খেলে মানব
শরীরে কোন ক্ষতি হওয়া সম্ভব না থাকে না। কারণ এটি এলার্জি মুক্ত ধান্য খাবার আপনি চাইলে এ ধরনের খাবার খেতে পারেন তাতে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
এলার্জি মুক্ত মাংসের তালিকা
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই এটা জানা অত্যন্ত জরুরী কারণ এ খাবার গুলো সম্পর্কে
না জানলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব না। খাবারের সাথে মাংস
খেতে কে না ভালোবাসে কিন্তু কিছু কিছু মাংসের মধ্যে রয়েছে এলার্জি জাতীয়
মাংস। তাই আজকে আমরা এলার্জি মুক্ত মাংস সম্পর্কে ধারণা দিব নিচে এলার্জি
মুক্ত মাংসের তালিকা দেয়া হলো।
- মুরগির মাংস
- টার্কি মুরগির মাংস
- শুয়োরের মাংস
- মাছ
মুরগির মাংস
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই এর মধ্যে মুরগির মাংস অন্যতম কারন অতিরিক্ত এলার্জি সমস্যা
হলে বিভিন্ন ডাক্তার দেশি মুরগির মাংস খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকে। কারণ মুরগির
মাংসের মধ্যে এলার্জি জাতীয় কোন উপাদান নেই। যে সকল মাংসের মধ্যে এলার্জি জাতীয়
সমস্যা রয়েছে সে সকল মাংস থেকে এগিয়ে চলতে পারলে এলার্জি থেকে রক্ষা পাওয়া
সম্ভব।
টার্কি মুরগির মাংস
মুরগির বিভিন্ন জাত রয়েছে এর মধ্যে টার্কি মুরগি অন্যতম এ ধরনের
মুরগি বাজারে বিক্রি করা হয়। আপনারা চাইলে অন্য মুরগির চেয়ে টার্কি মুরগি কিনা নিয়ে
আসতে পারেন। কারন এলার্জি মুক্ত মাংসের মধ্যে টার্কি অন্যতম তাই টার্কি মুরগি মাংস খেলে
এলার্জি জাতীয় সমস্যা হবে না।
শুয়োরের মাংস
শুয়োরের মাংসের মধ্যে এলার্জি জাতীয় কোন উপাদান নেই কিন্তু শুয়োরের মাংস ইসলাম
ধর্মে নিষেধ করা আছে। যারা ইসলাম ধর্মের বাহিরে তারা এ মাংস খেতে পারবেন। এ জন্য
আপনারা শুয়োরের মাংস খেতে পারেন তাতে কোন এলার্জি জাতীয় সমস্যা হবে না। এখানে ক্লিক করুন
মাছ
আমরা মাছে ভাতে বাঙালি তাই মাংসের সাথে মাছ থাকতেই হবে। কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই এ
সকল খাবারের মধ্যে মাছ অন্যতম এবং সেরা। কিন্তু কিছু কিছু মাছের মধ্যে এলার্জি
জাতীয় উপাদান রয়েছে। সে সকল মাছ থেকে এরিয়ে চলতে পারলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা
থেকে দূরে থাকা সম্ভব। তাই কিছু মাছ আছে যেগুলো খেলে এলার্জি সমস্যা হবে না।
এলার্জি মুক্ত ডেইরি খাবার
দৈনন্দিন জীবনে খাদ্য দ্রাবাসে বিভিন্ন খাবারের তালিকা থাকে তার মধ্যে ডেইরি
খাবার গুলোও রয়েছে।এলার্জি মুক্ত ডেইরি খাবারগুলো কোনগুলো সে সকল খাবারের নামের
তালিকা গুলো দেওয়া হল।
- দুধ
- পনির
- দই
- মাখন
দুধ
দৈনন্দিন জীবনে অনেকেই দুধ খেয়ে
থাকে এবং বেশিরভাগ মানুষই ঘুমানোর আগে রাতে এক গ্লাস করে দুধ খেয়ে থাকে। তাই দুধের
মধ্যে এলার্জি জাতীয় উপাদান নেই আপনারা চাইলে দুধ খেতে পারেন তাহলে এলার্জি
সমস্যা হবে না।
পনির
পনির জাতীয় খাবারের মধ্যে এলার্জি জাতীয় উপাদান নেই। এজন্য আপনার চাইলে পনির
জাতীয় খাবার খেতে পারেন। বেশিরভাগ মানুষই পনির খেতে পছন্দ করে। তাই পনির খেলে
গ্যাসের সমস্যা হবে না।
দই
খাবারের সাথে দই খেতে ৯৯% মানুষই পছন্দ করে। দইয়ের মধ্যে এলার্জি জাতীয় কোন
উপাদান নেই।আপনারা চাইলে খাবারের শেষে নিয়মিত দই খেতে পারেন। তাতে অ্যালার্জি
জাতীয় কোন সমস্যা হবে না। নিয়মিত দই খেলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা
পাওয়া সম্ভব।
মাখন
এলার্জি মুক্ত ডেইরি খাবারের মধ্যে মাখন অন্যতম কারন অতিরিক্ত এলার্জি জাতীয় সমস্যা
থাকলে মাখন খেতে পারেন। যেহেতু মাখন এর মধ্যে এলার্জি জাতীয় কোন উপাদান
নেই সেহেতু মাখন খাওয়া যেতে পারে তাহলে এলার্জি সমস্যা হবে না।
বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই এগুলোর মধ্যে বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার রয়েছে। এ
সকল খাবারগুলো খেলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব তাই এলার্জি মুক্ত
খাবার সম্পর্কে আজকে আমরা পরিচয় হবো। নিচে বীজ ও বাদাম জাতীয় খাবারের তালিকা
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
- চিয়া বীজ
- আখরোট
- বাদাম
- সূর্যমুখী বীজ
চিয়া বীজ
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই এদের মধ্যে রয়েছে চিয়া বীজ। চিয়া বীজ মধ্যে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা খেলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করে থাকে। চিয়া
বীজে এলার্জি জাতীয় কোন উপাদান নেই এজন্য অতিরিক্ত এলার্জি থাকা সত্তে ও চিয়া
বীজ খাওয়া যেতে পারে তাতে কোন এলার্জি সমস্যা হবে না।
আখরোট
আখরোট খেলে এলার্জির কোন সমস্যা হয় না তাই আপনারা চাইলে আখরোট জাতীয় খাবার খেতে
পারেন। কারণ এলার্জি জাতীয় সমস্যা থাকলে খাবারের বিষয় গুলো হিসাব করে খেতে
হয়। তাই আখরোট খেলে এলার্জির সমস্যা হবে না।
বাদাম
বাদাম খেলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা হবে না কারন বাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন
রয়েছে এবং ফ্যাট জাতীয় উপাদান রয়েছে। শুধু তাই না বাদামের বিভিন্ন ধরণ
রয়েছে যেমন কাঠ বাদ, কাজুবাদাম এবং দেশী হাইব্রিড ছোলা বাদাম এগুলো খেলে এলার্জি
কোন সমস্যা হবে না।
সূর্যমুখী বীজ
আপনারা অনেকেই সূর্যমুখী বীজ চিনতে পারবেন এটি অনেক উপকারী একটা উপাদান। কারণ সূর্যমুখী খাবার হিসেবে
খাওয়া যেতে পারে এবং সূর্যমুখীর তেল খুবই উপকারী। তাই যাদের এলার্জি জাতীয়
সমস্যা রয়েছে তারা সূর্যমুখী বীজ ব্যবহার করতে পারেন।
এলার্জি মুক্ত অন্য খাবার তালিকা
অতিরিক্ত এলার্জি জাতীয় সমস্যা থাকলে শরীরের চামড়াতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে। কারণ এলার্জির সমস্যা দেখা দিলে শরীরের চামড়াতে বড় বড় স্পোর্ট বা চাকলা
চাকলা দাগ দেখা যায় যা শরীরের চামড়ার জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ জন্য যে সকল খাবার
গুলোতে এলার্জি জাতীয় উপাদান নেই সেগুলো খেতে হবে। নিচে এলার্জি মুক্ত অন্যান্য খাবার তালিকা দেয়া
হলোঃ
- ডিম
- বীনস সবজি
- টোফু
- মটরশুটি
- ভেষজ
- লবণ
- মসলা
ডিম
ডিম খাওয়ার
অভ্যাস কম বেশি সবারই রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ ঘুম থেকে উঠে ডিম দিয়ে নাস্তা করে
থাকে। তাই এলার্জি সমস্যা না থাকলে ডিম খাওয়া যেতে পারে।
বীনস সবজি
আমাদের খাদ্য দ্রাবাসে দৈনন্দিন বিভিন্ন সবজি খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা জানি না
যে,কোন সবজিতে এলার্জি জাতীয় সমস্যা রয়েছে এবং কোন সবজিতে এলার্জি জাতীয় সমস্যা নেই। এদের মধ্যে বীনস জাতীয় সবজি খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দিবে না। তাই বীনস সবজি
তরকারি হিসেবে বা ভাজি হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
টোফু
টোফু জাতীয় খাবারের মধ্যে এলার্জি জাতীয় উপাদান নেই। আপনারা চাইলে টোফু জাতীয়
সবজি খেতে পারেন তাতে এলার্জি জাতীয় কোন সমস্যা দেখা দিবে না।
মটরশুটি
কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই এ সম্পর্কে ধারণা না থাকলে আপনি কখনো খাবার চয়েস করতে
পারবেন না। কারণ আমাদের মানব দেহে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় এজন্য কোন খাবারের কোন
সমস্যা রয়েছে এটার ধারনা থাকা খুবই জরুরী।
মটর শুটির মধ্যে এলার্জি জাতীয় কোন উপাদান নেই বলে সবাই মটরশুটি খেয়ে থাকে। তাই
অতিরিক্ত এলার্জি সমস্যা থাকলেও মটরশুটি খাওয়া যেতে পারে।
ভেষজ
ভেষজ জাতীয় খাবার মধ্যে এলার্জি জাতীয় কোন কথা নেই। যেহেতু ভেষজ জাতীয় খাবারের
মধ্যে এলার্জি জাতীয় কোন উপাদান নেই এজন্য ভেষজ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। এ ধরনের
খাবারের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
লবণ
লবন এমন একটা উপাদান যা আমরা বিভিন্ন তরকারির মধ্যে দিয়ে রান্না করে থাকি। যেহেতু
লবণের মধ্যে এলার্জি জাতীয় কোন উপাদানই নেই সে ক্ষেত্রে সবাই লবন খাওয়ার অভ্যাস
করতে পারেন। কারণ লবণের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়োডিন তাই লবণ খেলে
এলার্জি জাতীয় কোন সমস্যা হবে না।
মসলা
মশলা জাতীয় দ্রব্যতে এলার্জি জাতীয় কোন সমস্যা নেই। মসলা আমরা বিভিন্ন কাজে
ব্যবহার করে থাকি বিশেষ করে রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কালো মসলা খালি
পেটে চিবিয়ে খেলে গ্যাস্ট্রিক জাতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এজন্য মসলা
খেলে এলার্জি জাতীয় কোন সমস্যা হবে না।
শেষ মন্তব্য
উপরের আলোচনা থেকে আমরা এটা বুঝতে পারলাম যে, কোন কোন খাবারে এলার্জি নেই। এজন্য আমরা
যদি উপরের সকল ধরনের খাবারগুলো মেনে চলতে পারি তাহলে এলার্জি জাতীয় কোন সমস্যা হবে না। প্রিয় পাঠকগণ এজন্য আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই
আপনাদের প্রিয় মানুষের কাছে পোস্টটি শেয়ার করে দিয়ে সহায়তা করবেন। যেহেতু এত কষ্ট করে আপনারা আমাদের পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়েছেন তাই আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url