কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি খাবারের তালিকা।
কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে এবং গরুর মাংসে কি এলার্জি রয়েছে এ বিষয়টা
অনেকেই জানে না। বেশিরভাগ মানুষ এই বিষয়গুলোর জ্ঞান না থাকার কারণে এলার্জি
জাতীয় সমস্যার সম্মুখীন হয়। যে সকল খাবারের মধ্যে এলার্জি জাতীয় সমস্যা রয়েছে সেগুলো জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
প্রিয় পাঠক গন যে সকল খাবার খেলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা সৃষ্টি হয় সেগুলো না খাওয়াই ভাল।আজকে আমরা যে সকল খাবারে এলার্জি রয়েছে সেই খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করব।
উপস্থাপনা
বেশিরভাগ মানুষই কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে এবং কোন খাবারে এলার্জি নেই এ
বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। কিন্তু যে সকল খাবারে এলার্জি জাতীয় উপাদান
রয়েছে সে সকল খাবারগুলো একবার হলেও খেতে হবে। তা না হলে আপনি বুঝতে পারবেন না যে
কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে এবং কোন খাবারে এলার্জি নেই। কারণ আগে থেকে কোনভাবেই
বলা সম্ভব না যে আপনার কোন খাবারের মধ্যে এলার্জি জাতীয় উপাদান রয়েছে। তাই ভয় না পেয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারে
এলার্জি আছে আজকে আমরা সেই সকল খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
গরুর মাংসে
গরুর মাংস পছন্দ করে না এমন ব্যক্তি পাওয়া খুবই কঠিন। বেশিরভাগ মানুষই গরুর মাংস
খেতে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু গরুর মাংসের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে যেমন এলার্জি জাতীয় সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষ গরুর মাংস
খেলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা বেড়ে যায় যেমন শরীরর চুলকানি এবং শরীরের বিভিন্ন
অংশে চাকলা দাগ দেখা যায়। এজন্য গরুর মাংস লোভনীয় খাবার হলেও এলার্জি জাতীয়
সমস্যা যাদের আছে তাদের না খাওয়াটাই ভালো। শুধু গরুর মাংস নয় আরো কিছু মাংসের
মধ্যে এলার্জি জাতীয় উপাদান পাওয়া গেছে নিচে সেই সকল মাংস তালিকা দেয়া হলোঃ
- হাঁসের মাংস
- খাসির মাংস
হাঁসের মাংস
সুস্বাদু খাবারের মধ্যে হাঁসের মাংস খুবই মজাদার খাবার ৯৯% মানুষই হাঁসের
মাংস খেতে খুবই পছন্দ করে। হাঁসের মাংসের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে এই ধরুন
এলার্জি জাতীয় সমস্যা এবং ঠান্ডা জাতীয় সমস্যা। যাদের এলার্জি জাতীয় সমস্যা রয়েছে তাদের হাঁসের মাংস এরিয়ে চলতে
হবে। তাহলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে একটু হলেও রেহাই পাওয়া যাবে। এলার্জি জাতীয় সমস্যা হলে দেশি মুরগি খেতে পারেন তাহলে এলার্জির কোন সমস্যা হবে না।
খাসির মাংস
কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে এদের মধ্যে খাসির মাংস অন্যতম। খাসির মাংসের মধ্যে
প্রচুর পরিমাণে এলার্জি জাতীয় সমস্যা এবং ঠান্ডা জাতীয় উপকরণ পাওয়া গেছে। যারা
গরুর মাংস খেতে পছন্দ করেন না তার বেশিরভাগ মানুষই খাসির মাংস খেতে পছন্দ
করে। কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না যে,খাসির মাংস খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে
পারে যেমন ঠান্ডা বেড়ে যাবে এবং এলার্জি জাতীয় সমস্যা বেড়ে যাবে। এজন্য এ সকল খাবার থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলতে পারলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
মাছ জাতীয় খাবার
কারো কারো ক্ষেত্রে বিশেষ কোন মাছে এলার্জি থাকতে পারে আবার অনেকের সামুদ্রিক মাছ
খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় এই ধরুন টুনা মাছ, সেলমন, এবং ম্যাকরল জাতীয় মাছ
খেলে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য আপনার যদি এই ধরনের মাছে এলার্জি সমস্যা
থাকে তাহলে সেই মাছ এড়িয়ে চলাই ভালো। শুধু তাই না এগুলো ছাড়াও কিছু ফল ও সবজির
মধ্যে এলার্জি জাতীয় উপাদান পাওয়া গেছে যেমন গাজর , বেগুন, টমেটো, পিচ ফল এবং
কলা জাতীয় ফলের মধ্যেও এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা গেছে। আরো কিছু মাছের মধ্যে
এলার্জি জাতীয় উপাদান রয়েছে সে মাছগুলো হল চিংড়ি মাছ,
বোয়াল মাছ, পুটি মাছ, পাঙ্গাস মাছ ইত্যাদি জাতীয় মাছ
রয়েছে। এ সকল মাছগুলো না খাওয়াই ভালো তাহলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিবে না। এখানে ক্লিক করুন
সয়াবিন তেল জাতীয় খাবার
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে খাবার খেতে হয়। সেই সকল খাবারের
মধ্যে সয়াবিন তেল প্রধান। কারণ খাবার তৈরি করতে সয়াবিন তেলের বিকল্প নেই। সয়াবিন
তেল খেলে বড়দের সমস্যা না হলেও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা
দেখা দেয়। এক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে যে সয়াবিন,সয়াবিট এবং
সয়া মিল্ক এর ক্ষেত্রে ৯ বছর বয়সের পর থেকে এলার্জি জাতীয়
সমস্যা কমে যায়।
গমের তৈরি আটা জাতীয় খাবার
দৈনন্দিন জীবনে ভাতের পরে রয়েছে আটা জাতীয় খাবার। আটা জাতীয় খাবার ভাতের পরে
দ্বিতীয় প্রধান খাবার হিসেবে ধরা হয়। এই আটা জাতীয় তৈরি পাউরুটি খেলে অনেকের
মধ্যে এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু বড়দের ক্ষেত্রে প্রবলেম না হলেও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে
এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য যাদের এলার্জি জাতীয় সমস্যা রয়েছে তাদের
গমের তৈরি আটা জাতীয় খাবার থেকে এড়িয়ে চলাই ভালো।
গাছ বাদাম জাতীয় খাবার
বেশিরভাগ মানুষই বাদাম জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে। আবার বিভিন্ন ধরনের মানুষ
ডেজাট জাতীয় বাদাম খেতে বেশি পছন্দ করে। এ ধরনের বাদাম খেলে এলার্জি জাতীয়
সমস্যা দেখা যায়। শুধু তাই না বাদামের মধ্যে অনেক জাতের বাদাম রয়েছে যেগুলো খেলে
এলার্জির প্রবলেম হতে পারে। সে সকল বাদামের তালিকা নিচে দেওয়া হল।
- কাজুবাদাম
- পেস্তা বাদাম
- আমন্ড বাদাম
- আখরোট বাদাম
- ব্রাজিল নাট বাদাম
এ সকল বাদামের মধ্যে এলার্জি জাতীয় উপাদান পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় যে কোনো এক
ধরনের বাদামের মধ্যে এলার্জি থাকা মানে এটা নয় যে,প্রত্যেকটা বাদামের মধ্যেই
এলার্জি জাতীয় উপাদান রয়েছে। এলার্জি জাতীয় সমস্যা বিভিন্ন রূপ রয়েছে এই ধরুন
একেক মানুষের একেক ধরনের এলার্জি সমস্যা দেখা যায়। এজন্য
যাদের এলার্জি জাতীয় সমস্যা রয়েছে তাদের এ ধরনের বাদাম না খাওয়াই ভালো।
চিনা বাদাম জাতীয় খাবার
কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে এদের মধ্যে চীনা বাদাম সবার চেয়ে সেরা। বাদামের
বিভিন্ন জাত রয়েছে সব ধরনের বাদামের মধ্যে চিনা বাদাম সবার চেয়ে বেশি
পরিচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল চিনা বাদামের মধ্যে এলার্জি জাতীয় উপাদান রয়েছে
যা খেলে খুবই বাজে ভাবে এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। বড়দের চেয়ে
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চীনা বাদাম খেলে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ এক গবেষণা দেখা
গিয়েছে যে,চীনা বাদামের মধ্যে এলার্জি জাতীয় উপাদান ৫ থেকে ৮ শতাংশ বাচ্চাদের
ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। এবং ১ থেকে ২ শতাংশ বড়দের ক্ষেত্রে এলার্জি জাতীয়
প্রভাব বিস্তার করে থাকে। এজন্য যে সকল শিশুদের মধ্যে এলার্জি জাতীয় সমস্যা
রয়েছে তাদেরকে এলার্জি জাতীয় খাবার থেকে দূরে রাখতে হবে। তাহলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
ডিম জাতীয় খাবার
শারীরিক দুর্বলতা পূরণ করতে ডিমের ভূমিকা অপরিসীম ডিম খেলে অধিকাংশ মানুষের
মধ্যেই এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে আবার নাও পারে। কোন খাবারে এলার্জি
জাতীয় উপাদান রয়েছে আপনি না খেলে বুঝতে পারবেন না। যেহেতু দুধের মত ডিম অনেক
পুষ্টিকর একটি খাবার সে ক্ষেত্রে সবাই ডিম খেতে পছন্দ করে। কিন্তু ডিম খেলে
এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে ও পারে আবার নাও পারে। কিছু
কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের বেলায় দুধের মতই ডিম খেলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা যায়। এর কারণ হলো ডিমের মধ্যে যে সাদা অংশ থাকে সেই প্রোটিন থেকেই এলার্জির
উৎপত্তি শুরু হয়। এজন্য যাদের ডিম খেলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা হয় তাদের ডিম না
খাওয়াই ভালো।
দুধ জাতীয় খাবার
কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে এ বিষয়ে সবার ধারণা থাকা খুবই জরুরী। কারণ এই ধারণা
না থাকলে কোন খাবারে এলার্জি আছে আবার কোন খাবারে এলার্জি নেই এ বিষয়টা বোঝা
যাবে না। এ জন্য খাবারের বিষয়ে সবার সচেতন থাকা উচিত। দুধ জাতীয় খাবারের মধ্যে
এলার্জি জাতীয় উপাদান রয়েছে।কিন্তু প্রতিদিন শরীরের পুষ্টি পুরনের জন্য দুধের
উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু দুধ খেলে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে এলার্জি জাতীয়
সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শুধু তাই নয় গাভীর দুধের মধ্যে এলার্জি জাতীয় সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে
দুই বছরের উপরে এক থেকে দুই শতাংশ বাচ্চাদের মধ্যে গাভীর দুধে এলার্জি দেখা
যায়। যে শিশুদের বয়স তিন বছরের উপরে তাদের ক্ষেত্রে এলার্জি জাতীয় সমস্যা কমে
যেতে পারে এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে এই সমস্যাগুলো কম দেখা যায়। এজন্য
দুধ খেলে যাদের এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে তাদের ক্ষেত্রে দুধ না খাওয়াই
ভালো।
সেলফিশ জাতীয় খাবার
সেলফিস জাতীয় মাছ অধিকাংশ মানুষই চিনতে পারবে না আবার কিছু সংখ্যক মানুষ এই
মাছকে চিনতে পারেন। সেলফিস জাতীয় মাছ বলতে আসলে কোন মাছের অস্তিত্ব নেই। সেলফিস
মাছ বলতে যে সকল মাছ কে বোঝায় সেগুলো হলো শক্ত খোসা যুক্ত মাছ বা খোসা যুক্ত
আবরণে ঢাকা জাতীয় মাছ।এজন্য এ ধরনের শক্ত খোসা যুক্ত মাছ দ্বারা এলার্জি
জাতীয় সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেলফিস জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে
কাকড়া, চিংড়ি, ওয়েস্টার,শামুক জাতীয় খাবার নিচে
এইসব খাবার তালিকা দেওয়া হল।
- চিংড়ি
- কাকড়া
- ওয়েস্টার
- শামুক
চিংড়ি
চিংড়ি মাছ খুবই মজার একটি মাছ এটা খেতে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু চিংড়ি মাছের
মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি জাতীয় উপাদান রয়েছে। যা খেলে এলার্জি তীব্র বেড়ে
যেতে পারে তাই এ জাতীয় মাছ না খাওয়াই ভালো।
কাকড়া
কাকড়া অধিকাংশ মানুষই খেতে পছন্দ করে আবার অনেকেই এই কাঁকড়া খেতে খুবই অপছন্দ
করে।এখন বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ কাকড়ার চাষ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন
রেস্টুরেন্টে বা কক্সবাজারের পর্যটক এলাকায় বিভিন্ন এলাকাতে কাঁকড়া বিক্রি করতে
দেখা যায়। কিন্তু কাঁকড়া খেলে অনেকের আবার এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে
পারে। এজন্য যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তাদের কাকরা না খাওয়াই ভালো।
ওয়েস্টার
শামুক
শামুক কিছু সংখ্যক মানুষ খেতে খুবই পছন্দ করে বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের বাইরে যে
সকল মানুষগুলো রয়েছে। সেই সকল মানুষগুলো শামুক জাতীয় খাবার খেতে ভালো বাসে তাদের এই খাবার থেকে এড়িয়ে চলাই ভাল তাহলে এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা
পাওয়া যাবে।
সালফাইট জাতীয় উপাদান
সালফাইট জাতীয় উপাদান বেশিরভাগ মানুষই চিনতে পারবে না। সালফাইট বলতে যে সকল
খাবারের রং নষ্ট হয়ে যায় সে সকল খাবারের রং ফিরিয়ে আনতে সালফাইট জাতীয় উপাদান
ব্যবহার করা হয়।এজন্য কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে এটার জন্য সচেতন থাকতে হবে কারণ
আমাদের বাজার দ্রব্য অংশে বিভিন্ন খাবারের মধ্যে এই উপাদান গুলো ব্যবহার করা হয়ে
থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এই ধরনের খাবার এরিয়ে চলতে পারলে
এলার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা যাবে না।
শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠকগন উপযুক্ত আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে,কোন কোন খাবারে এলার্জি আছে
এবং কোন খাবারে এলার্জি নেই এই খাবার সম্পর্কে ধারণা থাকা খুবই জরুরী তাহলে
এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এজন্য আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবের কাছে পোস্টটি শেয়ার করে দিয়ে সহায়তা করবেন এবং আমাদের
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url