কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় ১৮টি খাবারের তালিকা।

কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এবং ডিম জাতীয় খাবার খেলে কি গ্যাস হয় এটা মানুষ চিন্তাই করে না।আর মানুষের খাবারের চাহিদা যত বেশি হচ্ছে।এই গ্যাস্ট্রিকের আক্রান্ত দিন দিন তত বেড়ে চলছে।এই সমস্যা থেকে কিভাবে রক্ষা পাবেন সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।কোন কোন খাবার খেলে আপনার গ্যাস্টিক সমস্যা হবে না।
কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয়
প্রিয় পাঠক গণ সে বিষয়গুলো জানতে হলে মনোযোগ সহকার আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে হবে।কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় এবং সে সকল খাবার সম্পর্কে আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব।

উপস্থাপনা

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার মূল কারণ হলো আমাদের অনিয়ম খাবার।আমাদের খাদ্যদ্রব্যের এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আমাদের শরীরে গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে সাহায্য করে।বেশিরভাগ সময় ভাজাপোড়া মসলা জাতীয় খাবারগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য দায়ি।এ সকল খাবার খেলে পেট ফেঁপে যায় এবং সব সময় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সাথে রাখতে হয়।কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকার পরেও বহু সংখ্যক লোক বুঝতে পারে না যে কেন এই জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।এজন্যই বিভিন্ন অসুবিধা তৈরি হয়।কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে আপনার শরীরে গ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করে।কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় আজকে আমরা সেই সকল খাবার সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ডিম জাতীয় খাবার

কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা না জানার কারণে সব সময় আমরা ভুল খাবার খেয়ে থাকি।আমাদের প্রতিদিন অনেক খাবারের মধ্যে কিছু কমন খাবার রয়েছে তার মধ্যে হল ডিম।খাবার হিসেবে ডিমের কোন বিকল্প নেই।এই ধরনের খাবার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ,পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সহকারে বিভিন্ন খনিজ উপাদান।এজন্য পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষই খাবার হিসেবে ডিম ব্যবহার করে থাকে।যাতে করে খাবারের মধ্যে কিছু পুষ্টি গুণাবলী পাওয়া যায়।কিন্তু এই ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এলার্জিক জাতীয় উপাদান।অতিরিক্ত ডিম খেলে পেট ফুলে যায় এবং পেটে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়।এজন্য এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে পারলে।পেট ফোলা এবং এলার্জি জাতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।

দুধের ল্যাকটোজ জাতীয় খাবার

দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন।অনেকে দুধ খেতে পছন্দ করে।আবার অনেকে দুধ খেতে অপছন্দ করে।দুধের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটোজ।এই ল্যাকটোজ জাতীয় খাবার অনেকে আবার সহ্য করতে পারে না।দুধ খেলে পেটের ভেতরে ব্যথা এবং গ্যাস তৈরি হতে পারে।কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা না জানার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।কারণ বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে অনেক মায়ের বুকের দুধ সুখে যায়।যার ফলে বাচ্চা সময়মতো দুধ পান করতে পারে না।ফলে প্যাকেটের বা গাভীর দুধ সংগ্রহ করে বাচ্চাকে খাওয়ানো হয়।এ ধরনের খাবার খেলে বাচ্চার পেট ফুলে যায় এবং বমির সৃষ্টি হয়।এই ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকলে গ্যাসের সমস্যা থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যাবে।

ফাস্টফুড জাতীয় খাবার

ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেতে কমবেশি সবারই ভালো লাগে।এই ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত তেল এবং পরিমাণের চেয়ে বেশি মসলা ও কিছু রাসায়নিক জাতীয় দ্রব্য।যা আপনার পেটে গ্যাস তৈরি করার জন্য যথেষ্ট।শুধু তাই না ফাস্টফুড ও জাতীয় খাবারের মধ্যে আরও রয়েছে, বার্গার, পিজা, নুডুলস,চিকেন ফ্রাই, চিকেন মাসালা,বারবিকিউ, ইত্যাদি জাতীয় অনেক খাবার।যা খেলে পেট ফুলে যাবে এবং পেটের মধ্যে ব্যথা সৃষ্টি হবে।অনেক সময় এ ধরনের খাবার খেলে বদ হজমের কারণে ভমির ভাব সৃষ্টি হয়।
কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় বিস্তারিত জানুন
যা আপনার শরীরের জন্য অনেকটা ক্ষতির কারণ।আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা বন্ধু বান্ধব,পরিবারের সদস্য এবং অফিসের কলিগদের সাথে রেস্টুরেন্টে বসে এ ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি।যাতে করে আমাদের শরীরে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়।আর এ ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে পারলে।আমাদের এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।

শুটকি মাছ জাতীয় খাবার

মাছের মধ্যে শুটকি অনেক মানুষ খেতে খুব পছন্দ করে।শুটকি মাছের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ ধরনের খাবার দামে সস্তা এবং খেতে খুবই মজা।অনেক সময় বর্ষাকালে পুকুর, খাল বিল, থেকে মাছ ধরে শুকিয়ে শুটকি বানানো হয়।শুধু তাই না পর্যটক এলাকা হিসেবে কক্সবাজার খুবই পরিচিত এই জায়গায় অনেক মানুষ ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক শুটকি মাছ ক্রয় করে নিয়ে আসে।কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা না জানার কারণে এ ধরনের খাবার খেলে পেটে গ্যাস্ট্রিক তৈর হতে সাহায্য করে।যেহেতু এই ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক জাতীয় সমস্যা।তাই এই খাবার থেকে বিরত থাকলে গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

বাদাম জাতীয় খাবার

বাদাম শরীরের জন্য খুব একটি উপকারী উপাদান।বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো।বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগাথ্রি উপাদান।অনেকে আছেন যারা বাদাম খেতে পছন্দ করেন।কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা না জানার কারণে কিন্তু অল্প পরিমাণে বাদাম খেলে পেট ফুলে যায় বা ফেঁপে যায়।অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা তৈরি হতে পারে।কিছু সংখ্যক মানুষ আছে যারা কাচা বাদ পানিতে ভিজিয়ে ঘুম থেকে বাসি মুখে ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেতে পছন্দ করে।এতে অবশ্য প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফ্যাট জাতীয় উপাদান পাওয়া যায় যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।কিন্তু অতিরিক্ত এই বাদাম খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের খাবার থেকে এড়িয়ে চলতে পারলে গ্যাসের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

চা-কফি জাতীয় প্রাণীদ্রব্য

চা-কফি খেলে পেটের জন্য অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।চা-কফি এ ধরনের পানির মধ্যে রয়েছে ক্যাফিন যা পেটের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।যা পেটের মধ্যে গ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করে।আমরা প্রতিদিন ব্যস্ত সময় পার করার পরে যখন ফ্রি সময় থাকি বন্ধুবান্ধব অফিসের কলিগ এদের সাথে করে বিভিন্ন টমের দোকানে চা-কফি খেয়ে থাকি।যা মানব জীবনে অভ্যাসের পরিণত হয়েছে।আমরা চাইলেও এ ধরনের অভ্যাস থেকে সরে আসতে পারি না।আর এই ধরনের বদ অভ্যাসের কারণে মানব দেহে গ্যাস্ট্রিক নামে শব্দ তৈরি হতে সাহায্য করে।কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা না জানার কারণে অতিরিক্ত চা-কফি খেলে খাবার অনিয়ম হতে পারে এবং গ্যাসের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।এ ধরনের পানি জাতীয় দ্রব্য থেকে এড়িয়ে চলুন তাহলে গ্যাসের সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা যাবে।

কোমল পানি জাতীয় দ্রব্য

কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা আমরা অনেকেই জানি না।কোমল জাতীয় পানি পান করলে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।আমাদের দেশে বিভিন্ন কোম্পানি কোমল জাতীয় পানি তৈরি করে থাকে।এদের মধ্যে রয়েছে ফ্রুট,আমের রস,কোকাকোলা, স্পিড ইত্যাদি জাতীয় পণ্য এগুলো আমরা প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণ খেয়ে থাকি।আপনারা অনেকে জানে হয়তোবা এ ধরনের পানির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড থাকে।যা আপনার পেটের জন্য ক্ষতির কারণ এ ধরনের কোমল জাতীয় পানি থেকে এড়িয়ে চলুন। তাহলে পেটের গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।

সুগার ফ্রি জাতীয় সবজি

চিনির পরিবর্তে যে ধরনের দ্রব্য তৈরি করা হয়।এদের মধ্যে রয়েছে চকলেট, চুইংগাম, ক্যান্ডি ইত্যাদি জাতীয় দ্রব্যে।এবং সর্বিটল,ম্যানিটোল, জাইলিটোল এই ধরনের সুগার ফ্রি অ্যালকোহল জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করলে গ্যাস্ট্রিক তৈরি হয়।আর আপনারা সবাই জানেন যে, অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণে পেটটিক আলসার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা না জানার কারণে আপনার শরীরে গ্যাস্ট্রিক তৈরি হবে।তাই এ ধরনের পণ্য ছাড়া আসল চিনি জাতীয় পণ্যগুলো বেছে নিতে পারেন।যা আপনার শরীরের জন্য ভালো। এখানে ক্লিক করুন

বিনস জাতীয় খাবার

কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এ ধরনের খাবারের মধ্যে বিনস জাতীয় খাবার অন্যতম।বিনস সবজির উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা সবাই জানেন যে,বিনস সবজি অন্যান্য সবজি চেয়ে খুবই উপকারী এবং পুষ্টিকর খাবার।এই খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আপনার পেটের ভিতরে গ্যাস তৈরি করতে দারুন ভাবে কাজ করে।বিনস বেশিরভাগ মানুষ ভাজি এবং তরকারির ভিতর দিয়ে রান্না করে থাকে।যা খেতে খুবই সুস্বাদ এবং মজাদার।যেহেতু বিনস জাতীয় খাবারের মধ্যে ফাইবার জাতীয় উপাদান রয়েছে। সে ক্ষেত্রে খাবার একটু ভালো করে রান্না করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।

ডাল জাতীয় খাবার

কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এদের মধ্যে ডাল সবার সেরা।ডাল জাতীয় খাবার পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন তরকারির সাথে ডাল জাতীয় খাবার সবসময় রান্না করে খাই।এর মধ্যে রয়েছে বুটের ডাউল,বুট,বীন সয়াবিন তেল ইত্যাদি জাতীয় খাবার।আর এদের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, সুগার জাতীয় উপাদান। যা আপনার পেটে গ্যাস তৈরি করতে খুবই কার্যকারী ভূমিকা পালন করবে।যেহেতু আমাদের দৈন জীবনে বেঁচে থাকার চাহিদা হিসেবে এই ধরনের খাবার খেতে হয়।তাই প্রয়োজনের চেয়ে একটু কম করে এ খাবারগুলো খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হতে অনেকটা কম সম্ভাবনা দেখা দিবে।

আপেল-পেয়ারা জাতীয় খাবার

মানব শরীরে বিভিন্ন পুষ্টিগণ চাহিদা মেটানোর জন্য আমরা আপেল পেয়ার খেয়ে থাকি।শরীর দুর্বল এবং অসুস্থ অনুভব করলে আপেল পেয়ারা খেয়ে ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করি।কিন্তু আপেল পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সুপার জাতীয় উপাদান।যা খেলে আপনার পেটে হজম হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।এতে করে খুব সহজে আপনার পেটের ভিতর গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে সাহায্য করে।এ ধরনের ফল ব্যালেন্ডার মাধ্যমে ব্লেন্ড করে জুস করে খেতে পারলে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।

লবণাত্মক জাতীয় খাবার

পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে লবণাত্মক খাবারের মাধ্যমে।অতিরিক্ত লবণাত্মক খাবার খেলে দেহের মধ্যে অতিরিক্ত পানি জমার সম্ভাবনা থাকে।কারণ লবণের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম যা পানি গ্রাহী।প্রচুর পরিমাণ লবণাত্মক খাবার খেলে পেটে খাবার হজম হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।যা পাকস্থলীতে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।এজন্য লবণাত্মক জাতীয় খাবার থেকে এড়িয়ে চলুন।কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা জানতে পারলে পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে একটু হলেও আরাম পাওয়া যাবে।

ফুলকপি জাতীয় সবজি

শীতের মৌসুমে ফুলকপি জাতীয় সবজি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়।ফুলকপি বিভিন্ন সময়ে ভাজি ও তরকারি রান্না হিসেবে ব্যবহার করা হয়।ফুলকপির মধ্যে রয়েছে প্রচুর (রেফিনোস) উপাদান যা গ্যাসের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে প্রচুর পরিমাণ সাহায্য করে।শীতের মৌসুমে এই ধরনের সবজিগুলো খুব কম দামে কেনা যায়।তাই ফুলকপিতে (রেফিনোস) থাকার কারণে এ ধরনের সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।তাহলে পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

মুলা জাতীয় সবজি

কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এ ধরনের খাবারের তালিকায় মুলা অন্যতম।শীতকালে বিভিন্ন সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের চাহিদা পূরণ করে থাকে মুলা।এ ধরনের সবজি শীতের মৌসুমে অনেকটা সস্তা দামে কেনা হয়ে থাকে।তাই বিভিন্ন সময়ে মুলা ভাজি ও মুলার তরকারি রান্না করে চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে।কিন্তু এ ধরনের সবজির মধ্যে রয়েছে ফাইবার জাতীয় উপাদান যা পেটের গ্যাস্ট্রিক তৈরি করতে সাহায্য করে।তাই মূলা জাতীয় সবজি থেকে এড়িয়ে চলুন তাহলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে।

বাঁধাকপি জাতীয় সবজি

শীতকালে আরো একটি সবজি হল বাঁধাকপি সবজি।বাঁধাকপি সবজি শীতকালে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয় বলে এর দামটা সস্তা এবং চাহিদা পূরণ করে থাকে।এ ধরনের সবজি বিভিন্ন সময় বাজি এবং তরকারি রান্না হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।এ ধরনের খাবার পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা না জানার কারণে আমাদের বিভিন্ন সমস্যা হয় এজন্য গ্যাস জাতীয় খাবার সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী। 

কাঁচা মরিচ জাতীয় সবজি

কাঁচা মরিচের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে।কাঁচা মরিচ আমরা সবসময় বিভিন্ন ধরনের তরকারির মধ্যে ব্যবহার করে থাকি।শুকনো মরিচের চেয়ে কাঁচা মরিচের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে।কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা না জানার কারণে কিন্তু পরিমাণের চেয়ে বেশি কাঁচা মরিচ খেয়ে থাকি যা পেটের ভিতর গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।তাই পরিমাণ মত কাঁচা মরিচ খেলে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

কলা জাতীয় খাবার

কলার মধ্যে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন রয়েছে।আপনারা অনেকেই সকালে নাস্তা করার সময় কলা খেয়ে থাকেন।আবার অনেকে পাউরুটি সাথে এবং দুধের সাথে খেয়ে থাকেন।যেহেতু এই খাবারের মধ্যে ফাইবার জাতীয় উপাদান রয়েছে।তাই অতিরিক্ত কলা খেলে বদহজম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কলা জাতীয় খাবার
কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা না জানার কারণে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।তাই কলা জাতীয় খাবার পরিমান মত খেলে গ্যাসের সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যাবে।

জাম জাতীয় খাবার

জাম খুবই পুষ্টি এবং কার্যকরী একটি ফল।নিয়মিত জাম খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যেতে পারে।তার মধ্যে শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।জাম রক্ত পরিষ্কারের মাধ্যমে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।কিন্তু অতিরিক্ত জাম খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে।তাই পরিমাণ মত জাম খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হয় না।  

শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠকগন আপনারা উপযুক্ত আলোচনা থেকে ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন যে,কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মানব শরীরের একটি অন্যতম সমস্যা।তাই ভাজা পোড়া অথবা ফাইবার জাতীয় খাবার ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে পারলে।গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।এ জন্য আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিয়ে সহায়তা করবেন।যেহেতু এত কষ্ট করে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন সেজন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url